× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পদ্মার ভাঙনে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি ও বসতবাড়ি

বাংলারজমিন

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
৫ আগস্ট ২০২১, বৃহস্পতিবার

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। দৌলতপুর উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের কয়েক কি. মি. এলাকাজুড়ে পদ্মার ভাঙনে কয়েক হাজার একর আবাদি জমি ও বসতবাড়ি নদীতে বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে রায়টা-মহিষকুণ্ডি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও এলাকার সাধারণ মানুষ। এলাকাবাসীর দাবি ভাঙনরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের। তবে দৌলতপুরের সংসদ সদস্য এডভোকেট আ. কা. ম. সরওয়ার জাহান বাদশাহ্‌র প্রচেষ্টায় পদ্মার ভাঙন ঠেকাতে নদী ভাঙনকবলিত এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলে তা নিয়ন্ত্রণ করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
সরজমিনে দেখা গেছে, দৌলতপুর উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের ৩টি ওয়ার্ডের কয়েক হাজার একর আবাদি জমি ও বসতবাড়ি নদীতে বিলীন হয়েছে। মরিচা ইউনিয়নের হাটখোলপাড়া এলাকার কৃষক ফজলুল হক জানান, প্রতি বছরই পদ্মা নদীতে পানি এলে জায়গাজমি ভেঙে নদীতে তলিয়ে যায়। এবারও এলাকার অসংখ্য মানুষের আবাদি জমি পদ্মার ভাঙনে নদীতে বিলীন হয়েছে। এলাকাবাসীর জায়গাজমি ও ঘরবাড়ি বাঁচাতে পদ্মার ভাঙনরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।

মরিচা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ আলমগীর জানান, নদী ভাঙনের কবলে তার ইউনিয়ন ব্যাপক হুমকির মুখে আছে। ইতিপূর্বে তার ইউনিয়নের নদীভরাট, চিতলমারী, রুইমারী, চৌদ্দহাজার ও নতুন চরসহ অনেক গ্রাম নদীতে বিলীন হয়েছে। বর্তমানে হাটখোলাপাড়া, ভুরকাপড়া ও কোলদিয়াড় এলাকা প্রবল নদী ভাঙনে জায়গাজমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বেশ কয়েকটি প্রাইমারি ও হাইস্কুল এবং ভারত-বাংলাদেশ বিদ্যুৎ সঞ্চালন খুঁটি হুমকির মুখে রয়েছে। যাতে করে তাদের আবাদি জমি-বাড়ি-ঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ রাস্তা-ঘাট ও জুনিয়াদহ বাজার এবং অসংখ্য সরকারি বেসরকারি স্থাপনা রক্ষা পায়। এজন্য তিনি সংসদ সদস্য এডভোকেট আ. কা. ম. সরওয়ার জাহান বাদশাহ্‌র হস্তক্ষেপ কামনা করেন।  
দৌলতপুরের মরিচা ইউনিয়নের হাটখোলপাড়ার পদ্মার ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আফছার উদ্দিন জানান, পদ্মার ভাঙনরোধে ১০৬ মিটার এলাকায় ১৩ হাজার জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। এটা আরও সম্প্রসারিত হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তবে আশ্বাস নয়, সর্বগ্রাসী পদ্মার করালগ্রাস থেকে দুই উপজেলার মানুষকে বাঁচাতে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক- এমনটাই দাবি ভুক্তভোগীসহ পদ্মা নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষের।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর