× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

লক্ষ্মীপুরে চাঁদাবাজিকালে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৫

বাংলারজমিন

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
৫ আগস্ট ২০২১, বৃহস্পতিবার

লক্ষ্মীপুরে মাছ ব্যবসায়ীকে জিম্মি করে চাঁদাবাজির অভিযোগে সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতাসহ ৫ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গত মঙ্গলবার বিকালে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে লক্ষ্মীপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সেবাব নেওয়াজসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে সদর থানায় একটি চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে- পৌর এলাকার বাঞ্চানগর গ্রামের মৃত মঈন উদ্দিনের ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন রতন, একই গ্রামের শাহ নেওয়াজের ছেলে সাবেক জেলা ছাত্রলীগ নেতা সেবাব নেওয়াজ, নিতাই চন্দ্র দাসের ছেলে বাবুল চন্দ্র দাস, মনির সুফির ছেলে শাকিল সুফি ও পার্বতীনগর ইউনিয়নের গোইয়ারপুর গ্রামের মৃত ইউসুফ হাসানের ছেলে নকিবুল হাসান। এদের মধ্যে সেবাব নেওয়াজ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-দপ্তর সম্পাদক ছিলেন। ২০১৭ সালের ৩০শে এপ্রিল তাকে বহিষ্কার করা হয়। আনোয়ার হোসেন রতন ভুয়া সাংবাদিক পরিচয়দানকারী এবং নকিবুল ইসলাম জেলা মৎস্য অফিসের সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত ৩রা আগস্ট রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাদেরকে আটক করে সদর থানা পুলিশ। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ক্ষতিগ্রস্ত মাছ ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন খোকন।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসীম উদ্দিন বলেন, আটককৃত ৫ জনসহ অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আটককৃতদের ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
ক্ষতিগ্রস্ত মাছ ব্যবসায়ী খোকন জানায়, কমলনগর মতিরহাট ও রামগতির মাছঘাট থেকে ইলিশ বোঝাই দুটি পিকআপ ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পিয়ারাপুর এলাকায় আসলে ৮-১০ জনের একটি দল নিজেদেরকে মৎস্য কর্মকর্তা ও সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ইলিশ বোঝাই একটি  পিকআপের গতিরোধ করে।
চালক ও সহকারীকে জিম্মি করে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের বকুলতলা বেড়িবাঁধ এলাকায় নিয়ে যায় এবং বিভিন্ন হুমকি-ধমকি দিয়ে তাদের থেকে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে। দর-কষাকষির পর বিকাশের মাধ্যমে তারা মাছ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা আদায় করে নেয়। অপরদিকে দ্বিতীয় গাড়িটি জেলা শহরের উত্তর তেমুহনী এলাকায় পৌঁছালে টাকার জন্য সেটিও জিম্মি করে তারা। এ ঘটনায় মাছ ব্যবসায়ী পুলিশকে অবগত করলে পুলিশ গিয়ে অভিযুক্তদের আটক করে।
সদর থানার উপ-পরিদর্শক মহসিন জানান, মৎস্য কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ইলিশ বোঝাই গাড়ি জিম্মি করে মারধর ও চাঁদা আদায়ের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৩ জন ও পরে অভিযান চালিয়ে আরও দুজনকে আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।  আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এ বিষয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বেলাল উদ্দিন বলেন, অভিযুক্ত নকিবুল ইসলাম আমাদের নিয়োগকৃত কর্মী নয়। সে একটি বেসরকারি সিকিউরিটি কোম্পানির সদস্য। ওই কোম্পানির মাধ্যমে তাকে আমাদের অফিসে সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর