সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে এলজিইডি’র কর্ণগাঁও-গচিয়া সড়কের সংস্কার কাজ শেষ হওয়ার আগেই বিভিন্ন অংশ ধসে গেছে। ভাঙন দেখা গেছে কয়েক জায়গায়। নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ও দায়সারাভাবে কাজ করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ করছেন এলাকাবাসী। জানা গেছে, উপজেলার করিমপুর ও রাজানগর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের লোকজন প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে থাকেন। দীর্ঘদিন সড়কটি বেহাল অবস্থায় থাকায় চরম দুর্ভোগে ছিলেন এ এলাকার বাসিন্দারা। সড়কটির সংস্কার ও উন্নয়ন কাজে ৬২ লাখ ২২ হাজার ১৯৬ টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। এতে স্থানীয়দের মাঝে স্বস্তি ফেরে। কাজ পায় শ্যামলী রেনু মিয়া নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
সরজমিন দেখা গেছে, বর্তমানে সড়কের কাজ বন্ধ রয়েছে। সংস্কার করা অংশের কয়েক স্থানের কার্পেটিং উঠে গেছে। দেখা দিয়েছে ভাঙন। সড়কের দুইপাশের কর্ণার একাধিক স্থানে ধসে পড়েছে। এলাকাবাসী অনেকেই আক্ষেপ করে বলেন, এ সড়কে ভারী যানবাহন চলাচল করে না। অথচ এরপরও নির্মাণ কাজ শেষের আগেই সড়কে ভাঙন দেখা দিয়েছে। আবার কোথাও কোথাও সড়কের পাশের মাটি সরে গিয়ে সড়ক ভেঙে যাচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, সড়কের কাজে নিম্নমানের মালামাল ব্যবহার করা হয়েছে। কাজের মান ভালো না হওয়ায় আমরা প্রতিবাদ করেছি। মানববন্ধন করেছি। কিন্তু আমাদের কোনো অভিযোগ আমলে না নিয়ে তাদের ইচ্ছেমতো কাজ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তারা পুনরায় সড়কের কাজ বাস্তবায়ন করার দাবি জানান। স্থানীয় ব্যবসায়ী ছদরুল ইসলাম বলেন, দেড় থেকে দুই মাস হলো রাস্তার কাজ করা হচ্ছে। এখনো পুরোপুরি কাজ শেষ হয়নি। এর মধ্যেই ভাঙন শুরু হয়েছে। দুর্নীতির কারণেই এ অবস্থা। এমনটাই মনে করেন তিনি। এ বিষয়ে ঠিকাদার রেনু মিয়া বলেন, সড়কের সামান্য অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা তা সংস্কার করে দেবো। দিরাই উপজেলা প্রকৌশলী ইফতেখার হোসেন জানান, বর্ষা মৌসুমের কারণে কিছুদিনের জন্য কাজ বন্ধ রয়েছে। সড়কের কাজ এখনো বাকি রয়েছে। সড়কে ভেঙে যাওয়া এবং কিছু জায়গায় সাইড ধসে যাওয়ার বিষয়টি আমরা গুরুত্বসহকারে পর্যবেক্ষণ করছি। ঠিকাদারকে ভাঙন অংশ সংস্কার করতে বলা হয়েছে।