সরাইলে শ্বশুরবাড়ির পাশের জয়ন্তা ক্ষেত থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছে জামাতা জয়নাল মিয়ার (৪০) লাশ। চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামের আবদুল লতিফের ছেলে জয়নাল। আর ঘাগরাজোর গ্রামের আসিদ মিয়া তার শ্বশুর। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শ্বশুরবাড়ি সংলগ্ন ওই জমি থেকে জামাতা জয়নালের লাশটি উদ্ধার করেছে সরাইল থানা পুলিশ। পুলিশ, নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রিকশা চালিয়ে সংসার চালাতেন জয়নাল। মাঝেমধ্যে দিনমজুরের কাজও করতেন। জয়নাল প্রথম বিয়ে করেছেন কালিকচ্ছ ইউনিয়নের চানপুর গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে মোমরাজ বেগমকে। মোমরাজ ১ ছেলে ও ১ মেয়ে নিয়ে থাকেন সিলেটে।
ঘাগরাজোর গ্রামের আসিদ মিয়ার মেয়ে সুইটি বেগমকে দ্বিতীয় বিয়ে করে শ্বশুরালয়েই থাকেন। সুইটির রয়েছে ১ ছেলে ও ১ মেয়ে। সুইটিসহ পরিবারের লোকজন জানায়, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে যায়নি জয়নাল। পরে গতকাল বুধবার সকালে বাড়ির পাশের ক্ষেতে এলাকাবাসী একটি লাশ দেখতে পায়। এ সময় জয়নালের শ্বশুরবাড়ির লোকজন লাশটি শনাক্ত করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক ব্যক্তি বলেন, লাশের গলায় আঘাতের চিহ্ন আর কোমরে ফোলা জখম রয়েছে। নিহতের পিতা আবদুল লতিফ ও ভাই আসিদ মিয়া জানান, আমরা কাউকে সন্দেহ করতে পারছি না। তবে দ্বিতীয় স্ত্রী সুইটি অভিযোগ করে বলেন, গত বৈশাখ মাসে ধান বনের (খেড়) বিষয় নিয়ে আমার আব্বার সঙ্গে তার চাচাত ভাইদের সংঘর্ষ ও মামলা মোকদ্দমার ঘটনা ঘটেছে। মামলার সাক্ষী হওয়ায় প্রতিপক্ষের লোকজন একাধিকবার হুমকিও দিয়েছে। আব্বার ধান পাহারা দেয়া অবস্থায় আমার স্বামী জয়নালকে রাতের বেলা হাত পা বেঁধে ধান নিয়ে গেছে। তারা কেউ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আছে কিনা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসলাম হোসেন বলেন, জয়নালের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেবো।