মাত্র ১৩ বছর বয়সেই বাজিমাত করলেন স্কাই ব্রাউন। টোকিও অলিম্পিকে মেয়েদের পার্ক স্কেটবোর্ডিংয়ে ব্রোঞ্জ জিতেছেন এই বৃটিশ কিশোরী। আর তাতেই ভাঙলো ৯৩ বছরের পুরনো রেকর্ড। অথচ মাত্রই গত বছর অনুশীলনের সময় দুর্ঘটনায় জীবনাশঙ্কা দেখা দিয়েছিল তার। আর সকল প্রতিকূলতা জয় করে বৃটিশ এই টিনএজ অ্যাথলেট গড়েছেন ৫ মিলিয়ন ডলারের সম্পদ। স্পনসর প্রতিষ্ঠান নাইকির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ সবচেয়ে কমবয়সী অ্যাথলেট তিনি। সামাজিকমাধ্যম ইন্সটাগ্রামে স্কাই ব্রাউনের ফলোয়ার ১০ লাখ ছাড়িয়ে।
টোকিও অলিম্পিকসে মেয়েদের পার্ক স্কেটবোর্ডিংয়ের ফাইনালে ৫৬.৪৭ স্কোর গড়ে তৃতীয় হয়েছেন স্কাই ব্রাউন। অলিম্পকসের স্কেটবোর্ডিয়ে এটি গ্রেট বৃটেনের প্রথম পদক। বৃটেনের সবচেয়ে কম বয়সী অলিম্পিয়ান স্কাই ব্রাউন।
বৃটিশ হিসেবে সবচেয়ে কম বয়সে অলিম্পিকে পদক জেতার কীর্তিও গড়লেন ১৩ বছর ২৮ দিন বয়সী অ্যাথলেট। ১৯২৮ সালে আমস্টারডাম অলিম্পিকে সবচেয়ে কম বয়সী বৃটিশ অ্যাথলেট হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন ম্যারগারি হিন্টন (১৩ বছর ৪৩ দিন)। আর সবচেয়ে কমবয়সী বৃটিশ অ্যাথলেট হিসেবে অলিম্পিকে পদক জয়ের রেকর্ডটি ছিল সিসিলিয়া কলেজের। ১৯৩৬ অলিম্পিকসের ফিগার স্কেটিং ইভেন্টে সিসিলিয়া রৌপ্য পদক জেতেন ১৫ বছর বয়সে।
টোকিওতে কীর্তি গড়ে ব্রাউন বলেন, ‘দুর্দান্ত একটি ফাইনাল ছিল। সব মেয়েরা দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। এটা অবিশ্বাস্য। বাস্তব মনে হচ্ছে না। এই অর্জন করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। আমি দু’বার পড়ে গিয়েছিলাম। তবে শেষ রানে ভালো করেছি।’
পার্ক স্কেটবোর্ডিংয়ে ৬০.০৯ স্কোরে সোনা জিতেছেন জাপানের ১৯ বছর বয়সী সাকুরা ইয়োসোজুমি। ৫৯.০৪ স্কোর নিয়ে রুপা জিতেছেন আরেক জাপানি অ্যাথলেট মাত্র ১২ বছর বয়সী স্কেটবোর্ডার কোকোনা হিরাকি। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় বসবাসরত স্কাই ব্রাউনের জন্ম জাপানে। বৃটিশ পিতা ও জাপানিজ মায়ের সঙ্গে পরে ক্যালিফোর্নিয়ার সান ডিয়াগোতে পাড়ি দেন স্কাই ব্রাউন।
নাইকির সঙ্গে স্পন্সর চুক্তিবদ্ধ সবচেয়ে কমবয়সী অ্যাথলেট তিনি। ইতিমধ্যেই টেনিস তারকা সেরেনা উইলিয়ামস ও জিমন্যাস্টিকস সেনসেশন সিমোন বাইলসের সঙ্গে বিজ্ঞাপন চিত্রে দেখা গেছে তাকে। ব্রাউন জানিয়েছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তার স্পন্সর চুক্তির অঙ্কটা ৫ মিলিয়ন ডলারের। এ তালিকায় রয়েছে টমি হিলফিগার, ভ্যান্স, হার্লি, বিলাবংয়ের মতো বড় প্রতিষ্ঠানগুলো। ২০১৮তে যুক্তরাষ্ট্রের রিয়েলিটি টিভি শো ড্যান্সিং উইথ দ্য স্টারস (জুনিয়র)-এর খেতাবও জেতেন স্কাই ব্রাউন। স্কেটবোর্ডার ব্রাউনের পিতা স্টু ব্রাউন জানান, গত বছর জুনে ক্যালিফোর্নিয়ায় অনুশীলনের সময় মারাত্মক দুর্ঘটনায় পড়েছিলেন স্কাই। বিমানে করে তাকে হাসপাতালে নেয়ার পর ডাক্তাররা জানায়, তার মাথার খুলি ফেটে গেছে। দুর্ঘটনায় তার হাতও ভেঙে গিয়েছিল।