বাংলাদেশ জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদ নামে ভুঁইফোঁড় সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মনির খান ওরফে দর্জি মনিরের চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার শুনানি শেষে এ আদেশ দেন ঢাকা মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মণ্ডল।
এর আগে দর্জি মনিরকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থানার চাঁদাবাজি ও প্রতারণার মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। অন্যদিকে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মঙ্গলবার চাঁদাবাজি ও প্রতারণার অভিযোগে কামরাঙ্গীরচর থানায় মামলাটি করেন ইসমাইল হোসেন নামে এক ব্যক্তি। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, দর্জির দোকানে চাকরি করতো মনির। হঠাৎ করে সে নিজেকে রাজনৈতিক নেতা হিসেবে পরিচয় দিতে শুরু করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আইডি’র মাধ্যমে বন্ধু হয়।
সে একেক সময়ে একেক রাজনৈতিক পদবি, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের এমডি হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেয়। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ প্রধানমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ছাড়াও আরও অনেক মন্ত্রী-এমপি’র সঙ্গে নিজের ছবি কম্পিউটার সফ্টওয়্যার মাধ্যমে এডিট করে বসিয়ে নিজেকে বাংলাদেশ জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি পদের নাম ব্যবহার করে। এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, সে এবং তার সহযোগীরা ঢাকা মহানগরীতে এবং বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় কমিটি দেয়ার নাম করে অনেকের কাছ থেকে টাকা নেয়। সে তার ভুঁইফোঁড় সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করতো। এছাড়া রাজনৈতিক প্রধানের নাম করে টাকা আদায়, বিভিন্ন চাকরি দেয়া এবং পদায়নের জন্য অনেক লোকজনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে।