শেষের পাতা
বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধনের আওতায় আনছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি
নূরে আলম জিকু
২০২১-০৮-০৫
রাজধানীতে বেসরকারিভাবে গড়ে উঠা মেডিকেল কলেজ, হাসপাতাল ও ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ডেন্টাল ক্লিনিক, মেডিকেল চেকআপ সেন্টার ও প্যারামেডিকেল ইনস্টিটিউটকে আনা হচ্ছে নিবন্ধনের আওতায়। আবাসিক-অনাবাসিক এলাকাসহ জনসমাগমপূর্ণ সড়কের পাশে থাকা এসব স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান সিটি করপোরেশনের নিবন্ধন ছাড়াই পরিচালিত হয়ে আসছে। এর সঠিক সংখ্যাও নেই করপোরেশনের কাছে। এবার নড়েচড়ে বসেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। দীর্ঘদিন ধরে বেসরকারি হাসপাতালকে নিবন্ধনের আওতায় আনার চেষ্টা চালাচ্ছে করপোরেশন। সম্প্রতি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অর্থ ও সংস্থাপন বিষয়ক স্থায়ী কমিটির এক সভায় নিবন্ধনের সেবা-মূল্য নির্ধারণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানকে কয়েকটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে নিবন্ধীকরণের সেবা-মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন অর্থবছর থেকে নিবন্ধন নিতে প্রকারভেদে ১০ হাজার থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ফি দিতে হবে। এ নিবন্ধীকরণ সেবা-মূল্য নির্ধারণ সভায় সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা বলেন, স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯-এর ১১২ ধারা মতে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন অধিক্ষেত্রে প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, প্যারামেডিকেল ইনস্টিটিউট ইত্যাদি নিবন্ধনে রাজস্ব আদায়ের নতুন একটি খাত সৃষ্টি করা হয়েছে। এবার নতুন অর্থবছর থেকে বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন কর ধার্য করতে যাচ্ছে ডিএসসিসি।
এক্ষেত্রে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫০ পর্যন্ত) নিবন্ধন ফি লাগবে তিন লাখ টাকা। শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫০-এর বেশি হলে লাগবে ৫ লাখ টাকা। বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক (১ থেকে ২০ শয্যা) নিবন্ধীকরণ ফি ১ লাখ টাকা। ২১ থেকে ৫০ শয্যার হাসপাতালের ক্ষেত্রে ২ লাখ টাকা। ৫১ থেকে ১০০ শয্যার হাসপাতালের জন্য ৪ লাখ টাকা। ১০১ থেকে ২৫০ শয্যার হাসপাতালকে দিতে হবে ৬ লাখ টাকা। আর ২৫০ শয্যার ওপরের হাসপাতালকে ১০ লাখ টাকা নিবন্ধন ফি দিতে হবে।
ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোকে তিন ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে ‘ক’ ক্যাটাগরির রুটিন প্যাথলজি, বায়োকেমিস্ট্রি, হেমাটোলজি পরীক্ষা, এক্স-রে, আলট্রাসনোগ্রাম, হিস্টোপ্যাথলজি, মাইক্রোবায়োলজি, ইমিউনোলজি, হরমোন পরীক্ষা, অন্যান্য রেডিওলজি ও ইমেজিং সেবা, সিটিস্ক্যান এবং এমআরআই সেন্টারকে ১ লাখ টাকা দিতে হবে। ‘খ’ ক্যাটাগরির রুটিন প্যাথলজি, বায়োকেমিস্ট্রি, হেমাটোলজি পরীক্ষা, এক্স-রে, আলট্রাসনোগ্রাম, হিস্টোপ্যাথলজি, মাইক্রোবায়োলজি, ইমিউনোলজি, হরমোন পরীক্ষা, অন্যান্য রেডিওলজি এবং ইমেজিং সেবা সেন্টারকে ৬০ হাজার টাকা। ‘গ’ ক্যাটাগরির রুটিন প্যাথলজি, বায়োকেমিস্ট্রি, হেমাটোলজি পরীক্ষা, এক্স-রে এবং আলট্রাসনোগ্রাম সেন্টারকে দিতে হবে ৪০ হাজার টাকা। ডেন্টাল ক্লিনিকগুলোর ক্ষেত্রে ১ শয্যার ক্লিনিক ১০ হাজার টাকা, ২ বা ৩ শয্যার ক্লিনিক ২০ হাজার টাকা এবং ৩ শয্যার অধিক ক্লিনিককে দিতে হবে ৪০ হাজার টাকা। এছাড়া বিদেশ গমনের উদ্দেশে স্থাপিত মেডিকেল চেকআপ সেন্টারকে দিতে হবে ১ লাখ টাকা। ক্যানসার হাসপাতালসহ যেসব বিশেষায়িত বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান হতে তেজস্ক্রিয় পদার্থ, রশ্মি নির্গত নিঃসরণ হয়ে থাকে ওইসব বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন ফি ১ থেকে ২০ শয্যার ক্ষেত্রে ৫ লাখ টাকা, ২০ শয্যার বেশি ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে। প্রতি বছর উল্লিখিত একই হারে ফি দিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধন নবায়ন করতে হবে।
এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাসের বলেন, সিটি করপোরেশনের রাজস্ব আদায়ের ওপর জোর দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি বেসরকারি এসব স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধীকরণের জন্য সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন বেসরকারি মেডিকেল কলেজ, হাসপাতাল ও ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ডেন্টাল ক্লিনিক, মেডিকেল চেকআপ সেন্টার ও প্যারামেডিকেল ইনস্টিটিউটের নিবন্ধীকরণের ফি আদায়ের বিষয়টি সবার মতামত নিয়ে সভায় পাস হয়েছে। পরে বোর্ড সভার সিদ্ধান্তটি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলেই কার্যক্রম শুরু করবে ডিএসসিসি।
এক্ষেত্রে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫০ পর্যন্ত) নিবন্ধন ফি লাগবে তিন লাখ টাকা। শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫০-এর বেশি হলে লাগবে ৫ লাখ টাকা। বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক (১ থেকে ২০ শয্যা) নিবন্ধীকরণ ফি ১ লাখ টাকা। ২১ থেকে ৫০ শয্যার হাসপাতালের ক্ষেত্রে ২ লাখ টাকা। ৫১ থেকে ১০০ শয্যার হাসপাতালের জন্য ৪ লাখ টাকা। ১০১ থেকে ২৫০ শয্যার হাসপাতালকে দিতে হবে ৬ লাখ টাকা। আর ২৫০ শয্যার ওপরের হাসপাতালকে ১০ লাখ টাকা নিবন্ধন ফি দিতে হবে।
ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোকে তিন ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে ‘ক’ ক্যাটাগরির রুটিন প্যাথলজি, বায়োকেমিস্ট্রি, হেমাটোলজি পরীক্ষা, এক্স-রে, আলট্রাসনোগ্রাম, হিস্টোপ্যাথলজি, মাইক্রোবায়োলজি, ইমিউনোলজি, হরমোন পরীক্ষা, অন্যান্য রেডিওলজি ও ইমেজিং সেবা, সিটিস্ক্যান এবং এমআরআই সেন্টারকে ১ লাখ টাকা দিতে হবে। ‘খ’ ক্যাটাগরির রুটিন প্যাথলজি, বায়োকেমিস্ট্রি, হেমাটোলজি পরীক্ষা, এক্স-রে, আলট্রাসনোগ্রাম, হিস্টোপ্যাথলজি, মাইক্রোবায়োলজি, ইমিউনোলজি, হরমোন পরীক্ষা, অন্যান্য রেডিওলজি এবং ইমেজিং সেবা সেন্টারকে ৬০ হাজার টাকা। ‘গ’ ক্যাটাগরির রুটিন প্যাথলজি, বায়োকেমিস্ট্রি, হেমাটোলজি পরীক্ষা, এক্স-রে এবং আলট্রাসনোগ্রাম সেন্টারকে দিতে হবে ৪০ হাজার টাকা। ডেন্টাল ক্লিনিকগুলোর ক্ষেত্রে ১ শয্যার ক্লিনিক ১০ হাজার টাকা, ২ বা ৩ শয্যার ক্লিনিক ২০ হাজার টাকা এবং ৩ শয্যার অধিক ক্লিনিককে দিতে হবে ৪০ হাজার টাকা। এছাড়া বিদেশ গমনের উদ্দেশে স্থাপিত মেডিকেল চেকআপ সেন্টারকে দিতে হবে ১ লাখ টাকা। ক্যানসার হাসপাতালসহ যেসব বিশেষায়িত বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান হতে তেজস্ক্রিয় পদার্থ, রশ্মি নির্গত নিঃসরণ হয়ে থাকে ওইসব বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন ফি ১ থেকে ২০ শয্যার ক্ষেত্রে ৫ লাখ টাকা, ২০ শয্যার বেশি ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে। প্রতি বছর উল্লিখিত একই হারে ফি দিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধন নবায়ন করতে হবে।
এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাসের বলেন, সিটি করপোরেশনের রাজস্ব আদায়ের ওপর জোর দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি বেসরকারি এসব স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধীকরণের জন্য সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন বেসরকারি মেডিকেল কলেজ, হাসপাতাল ও ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ডেন্টাল ক্লিনিক, মেডিকেল চেকআপ সেন্টার ও প্যারামেডিকেল ইনস্টিটিউটের নিবন্ধীকরণের ফি আদায়ের বিষয়টি সবার মতামত নিয়ে সভায় পাস হয়েছে। পরে বোর্ড সভার সিদ্ধান্তটি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলেই কার্যক্রম শুরু করবে ডিএসসিসি।