নির্ভয়া কাণ্ডও শিক্ষা দিতে পারেনি ধর্ষকদের। দিল্লি ক্যান্টনমেন্ট এলাকার একটি স্মশানে কালীমায়ের মন্দিরে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে এক দলিত কিশোরীকে। নির্মম এই ঘটনায় মন্দিরের পুরোহিত রাধেশ্যাম ছাড়াও গ্রেপ্তার করা হয়েছে লক্ষ্মীনারায়ণ, কুলদীপ কুমার ও মোহাম্মদ সেলিম নামের তিন যুবককে। অভিযোগ কিশোরীকে গণধর্ষণ করার পর তাকে খুন করে এই অভিযুক্তরা। মর্মান্তিক কাহিনি উঠে এসেছে মৃতের পরিবারের বয়ানে। দলিত কিশোরীটি ঠাণ্ডা পানি আনতে মন্দিরের ইঁদারায় গিয়েছিল। সেখানেই তাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। একঘণ্টা পরও মেয়ে ফিরছেনা দেখে কিশোরীর মা মন্দিরে গিয়ে দেখেন মেয়ের দেহ স্মশানের চিতায় জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছে।
রাধেশ্যাম জানায় যে পানি তুলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মেয়েটি মারা গেছে। বিনা অনুমতিতে দেহটি কেন দাহ করা হচ্ছিলো তার কোনো সদুত্তর রাধেশ্যামরা দিতে পারেনি। দলিত মহিলার চেঁচামেচিতে লোক জড়ো হয়ে যায়। চিতা থেকে অর্ধদগ্ধ দেহটি তুলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার কথা জানা যায়। এরপর পুলিশ রাধেশ্যাম ও তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। বুধবার বিকেলে রাহুল গান্ধী নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। তৃণমূল সাংসদরা মেয়েটির পরিবারকে জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনা নিয়ে সরব হবেন। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল মৃতের পরিবারকে এককালীন ১০ লক্ষ টাকা সাহায্য ঘোষণা করেছেন এবং তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু কোথায় সেই মোমবাতিওয়ালারা? মেয়েটি দলিত বলেই কি তাদের এই নিস্পৃহতা!