অনলাইন

টিকার খবর নেই, অথচ ঘটা করে প্রচারণা

স্টাফ রিপোর্টার

২০২১-০৮-০৫

করোনা টিকা নিয়ে অদ্ভুত এক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দেশে। যদিও বন্ধ হয়ে যাওয়া টিকাদান কর্মসূচি এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। জাপানের কাছ থেকে উপহার পাওয়ায় প্রায় পনের লাখ মানুষের দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েও অনিশ্চয়তা দূর হয়েছে।
কিন্তু করোনার চিত্র পাল্টাতে পারে এমন গতির টিকাদান কর্মসূচি এখনও শুরু করা যায়নি। এই প্রেক্ষাপটে বলা হয়েছিল ৭ই আগস্ট থেকে এক সপ্তায় এক কোটি মানুষকে টিকা দেয়া হবে। ঘটা করে প্রচারণা চলতে থাকে। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলে বসেন, ১১ই আগস্ট থেকে ১৮ বছরের বেশি বয়সী কেউ টিকা ছাড়া বাসা থেকে বের হলেই শাস্তি দেয়া হবে। যেন আলাদিনের চেরাগ পাওয়া গেছে। এক সপ্তায় আটাশ কোটি ডোজ টিকা দেয়া হয়ে যাবে। পরে অবশ্য সমালোচনার মুখে তিনি বক্তব্য প্রত্যাহার করে নেন।
সর্বশেষ জানা যাচ্ছে এক সপ্তাহের কর্মসূচি সীমিত করা হয়েছে। সাত দিনের পরিবর্তে এখন এক দিন এ কর্মসূচি পালিত হবে। মূলত টিকার পর্যাপ্ত মজুত না থাকার কারণেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেকের বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে দৈনিক যুগান্তরে।তিনি বলেন, সবকিছুই নির্ভর করছে সময়মতো টিকা পাওয়ার ওপর। শনিবার টিকা দেওয়া হবে। এতে জনপ্রশাসন, স্বরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় সংযুক্ত থাকবে। কর্মসূচির মূল লক্ষ্য বয়স্কদের টিকার আওতায় আনা।কারণ তাদের মধ্যে টিকা নেওয়ার প্রবণতা কম এবং করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুও বেশি। তবে বয়স্কদের পাশাপাশি অন্যরাও টিকা পাবেন। তিনি বলেন, এখনই ১৮-ঊর্ধ্ব সবাইকে টিকা দেওয়া সম্ভব হবে না।
এই টিকাদান কর্মসূচি নিয়ে অবশ্য বহু প্রশ্নেরই জবাব মিলছে না। হাজার হাজার মানুষ রেজিস্ট্রেশন করে টিকার অপেক্ষায় রয়েছেন। তাদের টিকা না দিয়ে ৭ই আগস্টের জন্য কেন অপেক্ষা করা হল তা নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। দ্বিতীয়ত, টিকার পর্যাপ্ত মজুত যদি নাই থাকে সপ্তাহ ঘিরে কেন এই ব্যাপক প্রচারণা চালানো হলো। যদিও গ্রামে রেজিস্ট্রেশন ছাড়া টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত একটি ভালো পদক্ষেপ।
কিন্তু লাখ লাখ মানুষ যদি লাইনে দাঁড়িয়ে যেতো তাদের কি টিকা দেয়া যেতো? সেটা নিয়েই চলছে নানা আলোচনা।
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status