অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই ব্যাটিং দৃঢ়তার জানান দিয়েছিলেন আফিফ হোসেন। ১৭টি বল খেলে দলের পুঁজিতে যোগ করেছিলেন ২৩ রান। পরের ম্যাচেও পরিণত হাতে ব্যাট করে দলকে এনে দিলেন টানা দ্বিতীয় জয়। ম্যাচসেরা পারফরম্যান্সের পর আফিফ জানালেন, জয় নিয়ে ফেরার আত্মবিশ্বাস ছিল তার।
দ্বিতীয় ম্যাচেও অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানদের টুটি চেপে ধরে বাংলাদেশের বোলাররা। মোস্তাফিজুর রহমানের কাটার-স্লোয়ারে খাবি খেয়ে যায় অজিরা। ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নিয়ে সফরকারীদের সীমিত লক্ষ্যে আটকাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখেন দ্য ফিজ। আরেক পেসার শরীফুল ইসলামও নেন ২টি উইকেট। সব মিলিয়ে ১২১ রানেই শেষ হয় অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস।
১২২ রানের মামুলি টার্গেট হলেও অজি বোলারদের তোপে ৬৭ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ।
বিপদে পড়া দলকে উদ্ধার করেন আফিফ হোসেন-নুরুল হাসান সোহানরা। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেন আফিফ। অপরাজিত ইনিংসটিতে ছিল ৫টি চার ও ১টি ছক্কা। আফিফকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন সোহান। উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান ২১ বলে ২২ রান করে অপরাজিত থাকেন।
এদিন ব্যাটিংয়ে নামার সময় আফিফকে ধরে খেলার টোটকা দিয়েছিলেন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ম্যাচ শেষে আফিফ বলেন, ‘নামার সময় রিয়াদ ভাই বলেছিলেন, যেয়ে যেনো দুই-তিন ওভার নরমাল খেলি। কিন্তু আমার পরিকল্পনা ছিল শেষ পর্যন্ত টিকে থাকা, ম্যাচটা শেষ করে আসা। ব্যাটিংয়ে নেমে আমি উইকেট বোঝার চেষ্টা করেছি। আমার বিশ্বাস ছিল যতই লাগুক, উইকেটে শেষ পর্যন্ত টিকতে পারলে আমি ম্যাচটা ভালোভাবে শেষ করতে পারবো।’
সঙ্গী নুরুল হাসান সোহানের কৃতিত্ব দিয়েছেন আফিফ। তিনি বলেন, ‘সোহান ভাই দারুণ ব্যাটিং করেছেন। তার সঙ্গে ব্যাটিংয়ের সময় কীভাবে উইকেট না দিয়ে রান তোলা যায়, সে পরিকল্পনা ছিল। তার থেকে ভালো সমর্থন পেয়েছি আমি। ফলে আমার ওপর তেমন কোনো চাপ পড়েনি।’
আফিফ মনে করেন, সাম্প্রতিক সময়ের সিরিজগুলো তাদের আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে। তিনি বলেন, ‘শেষ কয়েকটি সিরিজ আমরা অনেক ভালো করেছি। ওই সিরিজগুলোর আত্মবিশ্বাস আমাদের সহায়তা করছে। সিনিয়র যারা আছেন, তারাও আমাদের বিভিন্ন বিষয়ে সাহায্য করছেন।’