কেমন আছিস। হয়তো ভালো। আরে হয়তো বলছি কেন? তুই তো সবসময়ই ভালো থাকিস। কারণ অন্যের জীবন বিষাদময় করে তুই মজা নিতে পছন্দ করিস। নিজে ভালো থাকিস। কতো দেখলাম তোকে। হাসতে হাসতে তুই রুনা, মর্জিনা, জরিনা, সখিনা, পারুলনির সংসারে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিস। ওদের পুড়া জীবন দেখে দূরে দাঁড়িয়ে খিলখিলিয়ে হেসেছিস।
সত্যিই তুই এক পাষাণ। এত কিছু করে তুই কি পেলি? আজ তোর জীবনে কেউ নেই। রাহেলাকে বিয়ে করে ভেবেছিলি সুখি হবি। কিন্তু তোর ভাবনা কোথায় গেল? রাহেলা তো চব্বিশ ঘণ্টাও তোকে সময় দেয়নি। সে হাত ধরলো মঞ্জুর। তোর দিকে থু থু মেরে বললো, বাকি জীবনটা আগের মতো কাটিয়ে দে। তোর জন্মই হয়েছে অন্যের জীবনে আগুন জ্বালাতে। সেটাই তোকে মানাবে। একদিন কাঁদতে কাঁদতে বললি, রাহেলা আজ কতো সুখী। মঞ্জুকে নিয়ে গাড়িতে ঘুরে বেড়ায়। সময় পেলেই ছুটে যায় ইউরোপ, আমেরিকায়। আর তুই অজপাড়াগাঁয়ে অন্ধকার ঘরে দিন কাটাস। চোখের জলই এখন তোর সঙ্গী।
এসব বলে এখন লাভ কি? তোর সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পর থেকে জীবনটা হয়ে গেছে তেজপাতার মতো। তেজপাতাকে যেমন ব্যবহার করে ছুড়ে ফেলে দেয়া হয়, ঠিক তেমনি। আর এর জন্য তুই দায়ী। অন্যের জীবন তেজপাতা বানিয়ে নিজে সুখী থাকবি- এটা কি করে হয়? তুই তো তোর পাওনা সুদে আসলে ফেরত পাচ্ছিস।
যেমন আছিস তেমনই থাকিস।
ইতি
তোরই এক সময়ের আমি