ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, সরকারের একেক মন্ত্রী একেক ধরণের বক্তব্য দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করছে। টিকা মজুদ নিশ্চিত না করে টিকা না দিলে আইনের আওতায় আনার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে পরে তা আবার প্রত্যাখান করে নিজেদেরকে দায়িত্ব জ্ঞানহীন হিসেবে প্রমাণ করছে। বৃহস্পতিবার দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দেশের চলমান করোনা ও ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে এক পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, এটা স্পষ্ট যে সরকারের কাজের সমন্বয়হীনতা এবং এ সমন্বয়হীনতা হয়েছে গত বছরের শুরু থেকে। লকডাউন দেওয়া, গার্মেন্টস খোলা, শ্রমিকদের ঢাকা আনা-নেয়া নিয়ে অন্তত পাঁচবার এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এধরণের কর্মকান্ডে সরকারের ব্যর্থতা ক্রমেই ফুটে উঠছে।
তিনি বলেন, সরকার জনগণের স্বাস্থ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। করোনা ভাইরাসের প্রতিরোধক টিকা ভ্যাকসিন প্রদানে সরকারের খরচে দুর্নীতি হচ্ছে এবং অবিলম্বে তা বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। এছাড়া টিকা ক্রয়েও স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা থাকা প্রয়োজন। করোনা টিকা নিয়ে বাণিজ্য করছে হুইপপুত্র।
এধরণের অমানিবক কর্মকান্ড রুখতে না পারলে সরকারের জন্য তা সুখকর হবেনা।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব বলেন, সরকার এ পর্যন্ত কত কোটি টিকা মজুদ করেছে, তা দেশবাসির সামনে তুলে ধরে পুরো জনগোষ্ঠীকে কতদিনের মধ্যে টিকার আওতায় আনতে পারবে তার হিসেব না করেই দায়িত্বহীন বক্তব্য দিয়ে জনমনে সংশয় সৃষ্টি করছে। যা আদৌ অনুচিত। এধরণের বক্তব্য বিবৃতি না দিয়ে টিকা সংগ্রহ এবং সঠিকভাবে বন্টনে মনোনিবেশ করা উচিত।
তিনি বলেন, পুরো জাতি যখন স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত। সে মুহুর্তে পরী, মৌ, পিয়াসা নাটক সাজিয়ে জনগণের দৃষ্টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করছে সরকার। হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ এ ধরণের বিপদগামীদের কারা সৃষ্টি করছে, সরকারের আশ্রয়-প্রশ্রয় ছাড়া তা কখনো সম্ভব নয়। এসব বিপদগামীরা কাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে হয়েছে তা খুঁজে বের করতে হবে এবং আইনের আওতায় আনতে হবে।
বৈঠকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অংশ নেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম ও ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারি মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ ও মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী প্রমুখ।