হিরোশিমা ও নাগাসাকি দিবস উপল ই-সেমিনার আয়োজন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগ। ‘উদারতাবাদোত্তর শান্তি ও আন্তঃসাংস্কৃতিক সংলাপ’ শিরোনামে সোমবার এ ভার্চ্যুয়াল প্ল্যাটফর্মে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাপানের কুমামোতো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. জুইচিরো তানাবে। সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সম্প্রদায়ের আন্ত-সংস্কৃতিক সংলাপ এবং সংহতকরণের মাধ্যমে স্বাধীনতা-পরবর্তী শান্তি বিনির্মাণ কার্যকর করা উচিত। কারণ, শান্তিই একমাত্র বিকল্প হওয়া উচিত। জাপানের মত পারমাণবিক বোমার নৃশংসতা না সইলেও স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে পাকিস্তানী নৃশংসতা বাংলাদেশ দেখেছে। সেদিক থেকে জাপানের মত বাংলাদেশও এমন নৃশংসতার পুনরাবৃত্তি চায় না। সেমিনারের গেস্ট অফ অনার বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত জনাব নাওকি ইতো বলেন, যেহেতু জাপান একমাত্র দেশ যারা পারমাণবিক বোমার নৃশংসতা সয়েছে, আর কোনো জাতি যেন সেই নৃশংসতার মধ্য দিয়ে না যায় সে লক্ষ্যে জাপানীরা বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর।
করোনা ভাইরাসের মত আরো বৈশ্বিক সমস্যা নিরসনে বাংলাদেশের সাথে কাজ করতে চায় জাপান। বিশেষ অতিথি অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, শোকের মাস আগস্টে হিরোশিমা ও নাগাসাকি আমাদের এটা স্মরণ করিয়ে দেয় যে কীভাবে আমরা জ্ঞান-বিজ্ঞান দর্শনকে অন্যের বিরুদ্ধে নিষ্ঠুরতম উপায়ে ব্যবহার করতে পারি। তাই স্থানীয়দের সাথে নিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আন্তর্জাতিক রোটারী ডিস্ট্রিক্ট, ৩২৮১ এর গভর্নর ব্যারিস্টার মুতাসসিম বিল্লাহ ফারুকি বলেন, বৈশ্বিক শান্তিস্থাপন ও ব্যক্তি পর্যায়ে সমস্যা নিরুপণের মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য অব্যাহতভাবে কাজ করে আসছে রোটারি। হিরোশিমা ও নাগাসাকির পুনরাবৃত্তি এড়াতে নিরন্তর জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের সাথে কাজ করবে রোটারি। সভাপতির বক্তব্যে জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আব্দুল্লাহ-আল-মামুন বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক শান্তিস্থাপন প্রক্রিয়ায় আন্তঃসাংস্কৃতিক শিক্ষা একটা বড় পদক্ষেপ। সে লক্ষ্যে আশাব্যঞ্জকভাবে জাপান ও বাংলাদেশের শান্তিস্থাপন নীতি-কৌশলের পারস্পরিক শিক্ষায় সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করতে জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগ বদ্ধপরিকর। সেমিনারটির যৌথ আয়োজনে ছিল রোটারী ক্লাব গুলশান টাইগার্স।