× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

অচল শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান!

মত-মতান্তর

পিয়াস সরকার
১২ আগস্ট ২০২১, বৃহস্পতিবার

পুরোদমে ঘুরবে চাকা। খুলে দেয়া হলো পর্যটন কেন্দ্রও। দেশে সব সচল, অচল শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ‘লকডাউন’, ‘কঠোর লকডাউন’, ‘কঠোরতম লকডাউন’ নানা নামে বিধি-নিষেধ মানানো হয়। আবার সেই বিধি-নিষেধ তুলেও দেয়া হয়। কিন্তু দেশের ভবিষ্যৎ তৈরির কারখানা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালা আর খোলা হয় না।

১৬ মাস পার হয়েছে শিক্ষার্থীরা বসেনি বেঞ্চটায়। অনেক শিক্ষার্থী চুকিয়ে ফেলছেন বই-খাতার পাট। বিয়ের পিড়িটাতেও বসতে হয়েছে অনেক ছাত্রীকে।
আবার অনেকের লেখাপড়া চললেও সহ শিক্ষাটা মিলছে কই। এদিকে সরকার বলছে, করোনার সংক্রমণ কমলে পর্যায়ক্রমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে। অর্থাৎ নির্দিষ্ট করে কোন ঘোষণা নেই।

টিকা প্রদানের খাতায় যতো সংখ্যা যুক্ত হবে ততো বাড়বে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ফেরার সুযোগ। সেপ্টেম্বরে খুলে দেবার পরিকল্পনাও করা হচ্ছে। কিন্তু তা নির্ভর করবে টিকা প্রদানের ওপর। এদিকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে টিকাদান চললেও তোড় জোড় নেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে। গুগল ফর্মেই আটকে আছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিকা দান।

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বুধবার বলেছেন, সংক্রমণ কমলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে পারবেন।

দেশী, বিদেশী বিভিন্ন সংস্থা থেকে নেতিবাচক মত আসছে। তারা দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেবার কথা বলছে। কিন্তু সরকার শিক্ষার্থীদের নিয়ে কোন ঝুঁকি নিতে চায় না।

ক্যালেন্ডারের পাতা বদলাচ্ছে, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জটিলতা। চলতি বছরের এসএসসি, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা এখনো নেয়া সম্ভব হয়নি। ভর্তি হবার আগেই দেড় বছরের সেশন জটে অনার্স ভর্তিচ্ছুরা। আর অনলাইন আসক্তি, কিশোর গ্যাং ইত্যাদিতো আছেই। ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে শিশুর বিকাশ। শারীরিক ও মানসিক দুটোই।

সেপ্টেম্বর থেকে ধাপে ধাপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে চায় সরকার। আবার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের কথাও বলা হয়েছে। কিন্তু যেভাবেই হোক বিকল্প ভাবার এইতো সময়। কতোদিন আর বন্ধ করে রাখা যায়? নিয়ন্ত্রণ বলতে করোনার সংক্রমণ পাঁচ শতাংশের নিচে নেমে আসাকে বুঝানো হয়। পাঁচ শতাংশের নিচে সংক্রমণের হার নেমে আসতে দীর্ঘ সময় লেগে যেতে পারে। আমাদের খুব দ্রুত প্লান ‘বি’ নিয়ে আগানো উচিত। সে প্লানে যুক্ত হতে পারে সীমিত পরিসরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দুয়ার খোলা। সে সীমিত থেকে সীমিততর পরিসরে হলেও।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর