বহুজন সমাজ পার্টির সাংসদ অতুল রাই তাকে তার বারাণসীর বাড়িতে নাগাড়ে ধর্ষণ করেছেন- এই অভিযোগ জানিয়ে আগেই পুলিশে দ্বারস্থ হয়েছিলেন তরুণী। পুলিশ সাংসদ অতুল রাইকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তারও করেছে। সাংসদের দিন কাটছে এখন জেলের চার দেওয়ালের মাঝখানে। কিন্তু, সাংসদের ভাই সম্প্রতি মামলা এনেছেন যে, পুরো ধর্ষণের ঘটনাটিই ধাপ্পাবাজি, ষড়যন্ত্র। তার সাংসদ দাদাকে ফাঁসানো হয়েছে। এই মামলার শুনানির মধ্যেই একটি ফেসবুক লাইভ করে ধর্ষণের অভিযোগকারিণী তরুণী আর তার পুরুষ বন্ধু জানান, এমনটি ঘটবে তা তারা জানতেন। সাংসদ নিরাপরাধ প্রমাণিত হবেন আর তারা ষড়যন্ত্রের অংশীদার বলে চিহ্নিত হবেন। চিত্রনাট্য সাজানোই আছে।
তবে, আমরা এই চিত্রনাট্য বদলে দেব- এই কথা বলে ওই তরুণী ও তার পুরুষ বন্ধু সুপ্রিম কোর্টের প্রধান প্রবেশ দ্বারের সামনে গায়ে আগুন লাগান। গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় তাদের দিল্লির রামমনোহর লোহিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হলে পুরুষ বন্ধুটির মৃত্যু ঘটে সোমবার, তরুণী মারা যান মঙ্গলবার। ভারতে বিচার ব্যবস্থা কি এরপরও নীরবে নিভৃতে কাঁদবে?