সাতক্ষীরার বাসিন্দা, ২৫ বছরের আফিকুর রহমান ভালোবেসেছিল গ্রামের মেয়ে ২২ বছরের প্রিয়া দেবনাথকে। মুসলিম ছেলের সঙ্গে হিন্দু মেয়ের বিয়ে, মানতে পারেনি বাংলাদেশের রক্ষনশীল সমাজ। বাধার প্রাচীর তোলে তারা দুজনের মিলনে। কিন্তু, প্ৰেম যে দুর্নিবার। আফিকুর এবং প্রিয়া ঠিক করে তারা সীমান্তের ওপারে ভারতে গিয়ে বিয়ে করবে। যেমন ভাবা তেমন কাজ। স্বরূপনগর সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া অতিক্রম করে তারা ভারতে প্রবেশ করে। কিন্তু, প্রেমিক যুগলকে হাতেনাতে ধরে ফেলে বিএসএফ।
বেআইনি অনুপ্রবেশের দায়ে বিয়ের ছাদনাতলার বদলে তাদের জায়গা হয় শ্রীঘরে। দুজনেই প্রাপ্তবয়স্ক তাই ভারতীয় আইনে বিয়ে নিয়ে প্রশ্ন তোলা না হলেও বিনা পাসপোর্ট, ভিসায় সীমান্ত পারাপার করার জন্যে মামলা রুজু হয়েছে আফিকুর, প্রিয়ার নামে। অর্থাৎ, দুর্নিবার প্ৰেম আটকে গেছে নিয়মের নিগড়ে। করোনা কালে ভারত-বাংলাদেশের বেনাপোল, আখাউড়া, হিলি, দর্শনা, বুড়িমারি ও স্বরূপনগর সীমান্তে নাকা চেকিং জোরদার করা হয়েছে ভারতের বিএসএফ এবং বাংলাদেশের বিজিবির পক্ষ থেকে। সীমান্ত খুলেছে, তবে তা বৈধ যাত্রীদের জন্য। দুর্নিবার প্ৰেম তো আর ভিসা কিংবা পাসপোর্ট নয় যে ছাড় মিলবে!