কোচবিহারের চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্ত অতিক্রম করে বেআইনিভাবে ভারতে প্রবেশ করা ঢাকার পুলিশ অফিসার সোহেল রানাকে বিএসএফ আটক করার পর পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। স্পর্শকাতর এই ঘটনায় ঢাকার গুলশন থানার তদন্ত পরিদর্শক সোহেলকে কলকাতায় আনা হতে পারে বলে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা জানান। তবে এ ব্যাপারে এখনো কোনো স্থির সিদ্ধান্ত হয়নি। অন্যদিকে এগারোশত কোটি টাকার প্রতারণার ই-অরেঞ্জ মামলার সঙ্গে সোহেল রানার যোগাযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশও। কয়েকদিন আগে ঢাকার গুলশনে ই- অরেঞ্জ এর সদর দপ্তর এবং জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে প্রতারিতদের বিক্ষোভ সম্পর্কেও খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। মোটরবাইক ও অন্য ভোগ্যপণ্য ই-কমার্স প্লাটফর্ম ই-অরেঞ্জ এর মারফত দেয়া হবে এই প্রতিশ্রুতিতে কোটি কোটি টাকা তুলেছিল ই -অরেঞ্জ। ভারতে গ্রেপ্তার হওয়ার সময় পুলিশ সোহেল রানার কাছ থেকে বিদেশি পাসপোর্ট, দামি কয়েকটি আইফোন, ট্যাবলেট এবং ইলেক্ট্রনিক সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করেছে। সোহেল রানার ভারতীয় কন্টাক্টদের নাম জানার জন্য গোয়েন্দা দফতরের দুঁদে কর্তারা তাকে কলকাতায় জেরা করতে পারেন।
পুলিশের অনুমান- এই কন্টাক্টদের কাজে লাগিয়ে ভারত থেকে ব্যাংকক কিংবা সিঙ্গাপুরে পালানোর ছক ছিল ধৃত এই পুলিশ অফিসারের। তবে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের জন্য আগে মামলা হবে তারপর সোহেল রানাকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেয়া হতে পারে বলে জানা গেছে। পুলিশ ও বিএসএফ কর্তারা সোমবার এই ব্যাপারে একটি বৈঠকে মিলিত হতে পারেন।