বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরদের সঙ্গে কথা হয়েছিলো যে সকল শিক্ষার্থী এক ডোজ টিকা নেবার পর, দুই সপ্তাহ সময় দিয়ে খুলে দেয়া হবে। সেইক্ষেত্রে মধ্য অক্টোবর ঠিক করা হয়েছিলো। এখন যে পরিস্থিতি তাতে আমি আবারও এই সপ্তাহে সকল মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলরদের সঙ্গে বৈঠক করব। সেখানে অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে তারা যদি সিদ্ধান্ত নেন তারা যদি অক্টোবরের আগে খুলে দেবার জন্য তারা প্রস্তুত আছেন, যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সিদ্বান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট ও একাডেমীক কাউন্সিল নিয়ে থাকে কাজেই এই সিদ্ধান্ত তারা নিবেন। কিন্তু আমরা তাদের সঙ্গে আবার বৈঠক করব।
আজ রোববার বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠক শেষে গণমাধ্যমের কাছে এ তথ্য জানান তিনি। শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, আগামী ১২ই সেপ্টেম্বর রোববার থেকেই দেশের স্কুল-কলেজ খুলে দেয়া হবে। প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার ক্ষেত্রে সরকার কিছু নির্দেশনা তৈরি করেছে তা অবশ্যই মেনে চলতে হবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দিন থেকে এবছরের ও পরের বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা প্রতিদিন ক্লাসে আসবেন। পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরাও প্রতিদিন ক্লাসে আসবে। এছাড়া বাকি শ্রেণিগুলোর শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে আপাতত একদিন ক্লাসে আসবে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তীতে দিনের সংখ্যা বাড়ানো হবে। সম্ভব হলে একেবারেই স্বাভাবিক করে দেয়া হবে।
ডা. দীপু মনি বলেন, একইভাবে শ্রেণি কার্যক্রমের সময় প্রথমে কম থাকবে। এটি পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারি কেউ মাস্ক ছাড়া প্রবেশ করতে পারবে না। এটা নিশ্চিত করবে স্ব স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এছাড়া শ্রেণি কক্ষে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে। পুরো পরিস্থিতি মন্ত্রণালয় পর্যবেক্ষণ করবে।