তিনদিনের পুলিশ রিমান্ডের পর আজ মেখলিগঞ্জ আদালতে তোলা হবে চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্তে আটক ঢাকার বনানী থানার পুলিশ কর্মকর্তা সোহেল রানাকে। বাংলাদেশি এই পুলিশ অফিসার ১১শ’ কোটি টাকা প্রতারণা করে ভারতকে করিডোর হিসেবে ব্যবহার করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন নেপাল, সিঙ্গাপুর অথবা ব্যাংককে। বিএসএফের ১২৮ নম্বর ব্যাটালিয়ন সোহেল রানাকে আটক করে তুলে দেয় মেখলিগঞ্জ থানার পুলিশের হাতে। রোববার তাকে আদালতে পেশ করা হলে কোর্ট তাকে তিনদিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠায়। আদালতে সাতদিনের পুলিশ হেফাজত চাওয়া হয়েছিল। বুধবার সোহেল রানার তিনদিনের পুলিশ হেফাজতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে বলে তাঁকে মেখলিগঞ্জ আদালতের এডিশনাল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে তোলা হবে। সাধারণ অনুপ্রবেশকারী হিসেবেই সোহেল রানাকে দেখা হবে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে। এদিন রানার কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত তিনটি বিদেশি মোবাইল ফোন, এটিএম কার্ড, বিদেশি পাসপোর্ট এবং কিছু কাগজপত্রও পেশ করা হবে আদালতে।
ইতিমধ্যে, বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রণালয় ফ্যাগিটিভ আসামি হিসেবে রানাকে তাদের হাতে তুলে দেয়ার আবেদন জানিয়েছে দিল্লির কাছে।
২০১৬ সালের ২৮শে জুলাই ভারত-বাংলাদেশ এগ্রিমেন্ট অনুযায়ী রানাকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেয়া সম্ভব। কিন্তু, আদালতের রায়ের ওপর সব কিছু নির্ভর করবে। বিগত চারদিন পুলিশ লকআপে কাটানো স্মার্ট রানা এখনও মানসিকভাবে দৃঢ় আছেন। কালো ট্রাউজার ও রংবেরঙের টি-শার্ট পরতে ভালোবাসেন রানা। সেই পোশাকেই তাকে দেখা যাচ্ছে লকআপে।