তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া পরিবারের আর কাউকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিক দায়িত্ব দেননি। এবার তার ব্যতিক্রম হলো। ভবানীপুর উপনির্বাচনে নিজের তিয়াত্তর নম্বর ওয়ার্ডের ভোটের সাংগঠনিক দায়িত্ব তিনি দিয়েছেন নিজের ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। দক্ষিণ কলকাতার জয়হিন্দ ভবনে নিজের কার্যালয়ে বসে কার্তিক সোমবার দুপুরে বললেন, দিদি ভবানীপুর, কালীঘাটের মানুষকে নামে চেনে। বিপদে-আপদে পাশে থাকে। দিদিকে হারাবে কে? ওই ওয়ালাদের কর্ম নয় দিদিকে হারানো। চুয়ান্ন হাজার ভোটে জেতার রেকর্ড আছে দিদির এই কেন্দ্রে। এবার আমাদের লক্ষ্য সেই রেকর্ড ভাঙার।
নতুন দায়িত্ব পেয়ে কেমন লাগছে? কার্তিক বললেন, দায়িত্ব হয়তো নতুন। কিন্তু, চল্লিশ বছর ধরেই তো এই কাজটা করে আসছি। তাই, নতুন কিছু মনে হচ্ছে না। বিজেপি বলছে মমতার মুখ সন্ত্রাসের, প্রিয়াঙ্কা টিবড়েওয়ালার মুখ প্রতিবাদের, সিপিএম বলছে, লড়াই টিএমচির অগণতান্ত্রিকতার বিরুদ্ধে। আপনি কি বলছেন? সোমবারের দুপুরে মানবজমিনকে একান্ত সাক্ষাৎকারে মমতার ভাই বললেন, এদের তো কেউ চেনে না। ভোটের ১৫ দিন পরে কেউ নামটাই মনে করতে পারবে না। আমি নিজেই তো টেলিভিশন এ ওদের নাম প্রথম দেখলাম। কেউ বলতে পারবে সন্ত্রাস হয়েছে, তার আবার প্রতিবাদ কি? আটের দশকে আশুতোষ কলেজে তদানীন্তন বাম সরকার শুভঙ্কর চক্রবর্তীকে অধ্যক্ষ করে এনে দক্ষিণপন্থি ছাত্রদের বাগে আনার চেষ্টা করেছিল। আশুতোষ এ বাম ছাত্রদের উৎখাত করার কাজে কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিল। কার্তিক বললেনÑ এইরকম অসংখ্য শুভঙ্কর চক্রবর্তীকে আনা হয়েছে বারবার। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানো যায়নি। এবারও যাবে না। শুধু দেখতে হবে ব্যবধানের রেকর্ডটা যেন গড়তে পারি।