× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শিক্ষা কাঠামো পরিবর্তন- /যা ভাবছেন শিক্ষাবিদরা

এক্সক্লুসিভ

স্টাফ রিপোর্টার:
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, বৃহস্পতিবার

বদলে যাচ্ছে শিক্ষা কাঠামো। ঢেলে সাজানো হচ্ছে পুরো ব্যবস্থা। ২০২৩ সাল থেকে শুরু হতে যাওয়া নতুন কাঠামোতে থাকবে না তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা। থাকছে না পিএসসি ও জেএসসি পরীক্ষা। একাদশ-দ্বাদশের ফল মিলিয়ে এইচএসসি’র ফল। এসএসসিতে থাকছে না বিভাগ বিভাজন। শুধুমাত্র দশম শ্রেণির কারিকুলামেই এসএসসি পরীক্ষা দেবে শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও শিক্ষা কারিকুলামে আসছে আরও নানা পরিবর্তন।
পরীক্ষা কমিয়ে শিক্ষার্থীদের শিখনকালীন মূল্যায়নে অধিক গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে কারিগরি শিক্ষায়।

প্রশ্ন উঠেছে- পরীক্ষা কমে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের কোনো ক্ষতি হবে কি-না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরীক্ষার মূল্যায়নের আগেই যেহেতু শ্রেণি মূল্যায়ন বা শিখনকালীন মূল্যায়ন হবে সেহেতু মেধাবীদের পরীক্ষায় তার প্রভাব খুব একটা পড়বে না। ২০২১ সাল থেকে হবে শিক্ষা উন্নয়ন, শিখন-শেখানো সামগ্রী প্রণয়ন ও পাইলটিংয়ের প্রস্তুতি। ২০২২ সালে হবে নির্বাচিত বিদ্যালয়ে শিক্ষাক্রম ও শিখন-শেখানো সামগ্রিক পাইলটিং। ২০২৩ সালে প্রথম, দ্বিতীয়, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন কার্যক্রম প্রবর্তন। পরের বছর তৃতীয়, চতুর্থ, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে প্রবর্তন। ২০২৫ সালে পঞ্চম ও দশম। ২০২৬ সালে একাদশ ও এরপরের বছর হবে দ্বাদশের প্রবর্তন।

সোমবার শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন ভার্চ্যুয়ালি। নতুন শিক্ষা কাঠামোর খসড়া অনুমোদনও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

শিক্ষার এই পরিবর্তনের বিষয়ে শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মো. জাফর ইকবাল বলেন, যদি সবার সুযোগ-সুবিধা হয়, সবই যদি ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়- আমার মনে হয় খারাপ হবে না। শিক্ষামন্ত্রীসহ অন্যরা বুঝেশুনেই এই কাঠামো প্রস্তুত করেছেন, করছেন। আমিও এটাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। পরীক্ষাগুলো কমে আসার বিষয়ে তিনি বলেন, হ্যাঁ পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জানাশোনা হয়। অভিজ্ঞতা হয়। এই থেকে কিছুটা কমে এলেও সার্বিকভাবে ভালো হচ্ছে। আর অধিক পরীক্ষাও কিন্তু খারাপ। আর সার্বিকভাবে বিষয়টি ইতিবাচক।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমিরিটাস অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সঠিকভাবে এটির বাস্তবায়ন হলে শিক্ষার্থীদের ভালোই হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ও শিক্ষাবিদ ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি পরীক্ষা কমানোর সিদ্ধান্তটাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। আমি একাধিকবার বলেছি, অধিক পরীক্ষার ফলে আমাদের দেশে এখন পরীক্ষার্থী আছে শিক্ষার্থী নেই। পরীক্ষা বাড়িয়ে দিয়ে শিক্ষার্থীদের অনেক ক্ষতি করা হয়েছে। প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বরং পরীক্ষা কমানোর সিদ্ধান্তকে আমি স্বাগত জানাই। এ ছাড়াও তিনি বিলম্বিত হলেও বোধদয়ের জন্য সরকারকে অভিনন্দন জানান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, অবশ্যই এটি ভালো উদ্যোগ। আমরা চাই বাস্তবায়নযোগ্য আধুনিক সিলেবাস। পরীক্ষা কমানোটা ইতিবাচক। আর কোন শ্রেণিতে কোন বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে সে সম্বন্ধে সঠিক দিক নির্ধারণের আহ্বান জানান তিনি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর