খেলা
বিশ্বকাপে উজাড় করে দিতে চান সাইফুদ্দিন
স্পোর্টস রিপোর্টার
২০২১-০৯-১৭
২০১৯, ইংল্যান্ডে ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলেছেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। তবে যতটা চমক এই তরুণ পেসারের কাছে আশা ছিল তার ধারে-কাছেও যেতে পারেননি। উল্টো তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে তিনি ভয়ে ইনজুরির বাহানা করে খেলতে চাইছেন না। এবার তার সুযোগ দেশের হয়ে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও খেলার। আছেন টাইগারদের ১৫ সদস্যের স্কোয়াডে। ইনজুরি, খারাপ পারফরম্যান্স, ফর্মহীনতা ও বিতর্ক সব কিছু পিছনে ফেলে নতুন চ্যালেঞ্জে প্রস্তুত এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার। দুবাইয়ে বিশ্বকাপে উজাড় করে দিতে চান নিজেকে। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই প্রতিটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। যখন আমি ঢাকা লীগ খেলি, তখনো আমার একই প্রচেষ্টা থাকে। বিশ্বকাপ আইসিসির বড় আসর, সেখানেও চেষ্টা করবো নিজেকে উজাড় করে শতভাগ দেয়ার, বাকিটা আল্লাহর হাতে। ভিন্ন কন্ডিশন, আমি আগে কখনো দুবাইয়ে খেলিনি। তারপরও চেষ্টা থাকবে ভালো কিছু করার এবং দলের জয়ে অবদান রাখার।’ তবে দুবাইয়ে বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলতে হলে আগে বাংলাদেশকে পার হতে হবে বাছাই পর্ব। ১৭ই অক্টোবর ওমানে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে শুরু হবে টাইগারদের বিশ্বকাপ মিশন। সাইফুদ্দিনের লক্ষ্য তাই বাছাই পর্ব থেকেই। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রথম লক্ষ্য হলো প্রথম রাউন্ড উত্তীর্ণ করে মূল পর্বে যাওয়া। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আসলে সব দলই ভালো, যার দিন ভালো যাবে সেই সেদিন জিতবে। প্রথম রাউন্ড উত্তীর্ণ করে তারপর মূলপর্ব নিয়ে পরিকল্পনা করবো।’ দেশের হয়ে ২৯ ওয়ানডে ম্যাচে এই পেসারের শিকার ৪১ উইকেট। ব্যাট হাতেও হাঁকিয়েছেন দুটি ফিফটি। বলা চলে এই ফরম্যাটে পেস অলরাউন্ডারের তকমাটা ধরে রেখেছেন। কিন্তু ২৫ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ২৬ উইকেট নিলেও ফিনিশারের ভূমিকায় এখনো তাকে খুব একটা দেখা যায়নি। তবে সাইফুদ্দিন ব্যাটিংয়ের চেয়ে মন দিতে চান বোলিংয়েই। তিনি বলেন, ‘আমার প্রথম কাজ হচ্ছে বোলিং। ব্যাটিংয়েও যখনই সুযোগ পাই, ভালো কিছু করার চেষ্টা করি। দলের চাহিদা অনুযায়ী সেটা ব্যাটিং হোক কিংবা বোলিং ভালো করতে চাই। দুটিই উপভোগ করি। তবে এগিয়ে রাখতে বললে অবশ্যই বোলিং আমার অগ্রাধিকার।’
সাইফুদ্দিনের জন্য বড় দুঃস্বপ্ন তার বলে ডেভিড মিলারের ৫ ছাক্কার মার। আর সেই মার খেয়েই এখন মরার ভয় পান না তিনি। বিশ্বকাপে তাই কোনো ব্যাটসম্যানকে নিয়ে তার ভয় নেই। প্রতিজ্ঞ করেছেন মার খেলেও মেরেই ছাড়বেন। তিনি বলেন, ‘হয় মরবো, না হয় মারবো। যেহেতু একবার মরেছি তাই এবার চেষ্টা থাকবে মারার। হয়তো আবারও মার খেতে পারি কিন্তু এসব নিয়ে লুকোচুরি নেই। সব সময়ই চেষ্টা থাকবে উইকেট নেয়ার।’ সেই সঙ্গে ২৪ বছর বয়সী এই পেসার নিজেকে বদলাতে রাজি নয় এক ফোঁটাও। লড়াই করতে চান নিজের সেরা অস্ত্র নিয়েই। তিনি বলেন, ‘এটা তো আর বিয়ে বাড়ি না যে আমি চাইলাম একবার একটি পোশাক পরলাম, ভালো লাগলো না আবার পরিবর্তন করে আরেকটা পরলাম। এটা হলো ক্রিকেট, বিভিন্ন কঠিন পরিস্থিতিতেই খেলা হয়।
কিন্তু এখানে বৈচিত্র্য প্রতিনিয়ত পরিবর্তন করলে নিজের অস্তিত্ব হারিয়ে যাবে। যেটা আছে সেটা নিয়েই লড়ার করার চেষ্টা করবো। যেই দক্ষতা আছে তা নিয়েই এগিয়ে যাবো।’
এছাড়াও তার বোলিয়ের অস্ত্র ইয়র্কার বল নিয়েও কাজ করে যাচ্ছেন। তবে তার মতে অনুশীলনের পাশাপাশি ইয়ার্কার বল করতে প্রয়োজন আত্মবিশ্বাস। সেটি না থাকলে কোনো অনুশীলনই কাজে আসবে না। তিনি বলেন, ‘ইয়র্কার এমন একটি ডেলিভারি, যার সবই আত্মবিশ্বাসের ওপর নির্ভর করে। আপনি সারাদিনও অনুশীলনে শতভাগ চেষ্টা করেন কিন্তু ম্যাচে ইয়র্কার করার সময় আত্মবিশ্বাসী না থাকেন তাহলে লো ফুলটস অথবা হাফভলি হয়ে যাবে। অবশ্যই অনুশীলন দরকার, তবে নিজের দক্ষতায় আত্মবিশ্বাস রাখা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যে যত বেশি আত্মবিশ্বাসী হবে, সে তত ভালো বোলিং করতে পারবে সেটা যে বলই হোক।’ অন্যদিকে অনুশীলনে সুযোগ না পেলে অবসরেও ক্রিকেটের বাইরে থাকেন না সাইফুদ্দিন। অবসরে নিজের বোলিংয়ের ভিডিওগুলো দেখেন বারবার। আর নিজের ভুলগুলোকে কীভাবে শুধরানো যায় তার পরিকল্পনা করেন। তিনি বলেন, ‘অবসর সময়ে বা যখন কাজ থাকে না, সময় যেতে চায় না, তখন নিজের খেলার পুরানো ভিডিওগুলো দেখি। যেগুলো ভালো বোলিং করেছিলাম, সেগুলো দেখা হয়। এগুলো দেখার সময় একটা বাড়তি উদ্দীপনা কাজ করে। আত্মবিশ্বাস আসে যে আমি ভালো করেছি এবং সামনে আরও ভালো করবো। এগুলো দেখেই নিজেকে মোটিভেট করি।’
সাইফুদ্দিনের জন্য বড় দুঃস্বপ্ন তার বলে ডেভিড মিলারের ৫ ছাক্কার মার। আর সেই মার খেয়েই এখন মরার ভয় পান না তিনি। বিশ্বকাপে তাই কোনো ব্যাটসম্যানকে নিয়ে তার ভয় নেই। প্রতিজ্ঞ করেছেন মার খেলেও মেরেই ছাড়বেন। তিনি বলেন, ‘হয় মরবো, না হয় মারবো। যেহেতু একবার মরেছি তাই এবার চেষ্টা থাকবে মারার। হয়তো আবারও মার খেতে পারি কিন্তু এসব নিয়ে লুকোচুরি নেই। সব সময়ই চেষ্টা থাকবে উইকেট নেয়ার।’ সেই সঙ্গে ২৪ বছর বয়সী এই পেসার নিজেকে বদলাতে রাজি নয় এক ফোঁটাও। লড়াই করতে চান নিজের সেরা অস্ত্র নিয়েই। তিনি বলেন, ‘এটা তো আর বিয়ে বাড়ি না যে আমি চাইলাম একবার একটি পোশাক পরলাম, ভালো লাগলো না আবার পরিবর্তন করে আরেকটা পরলাম। এটা হলো ক্রিকেট, বিভিন্ন কঠিন পরিস্থিতিতেই খেলা হয়।
কিন্তু এখানে বৈচিত্র্য প্রতিনিয়ত পরিবর্তন করলে নিজের অস্তিত্ব হারিয়ে যাবে। যেটা আছে সেটা নিয়েই লড়ার করার চেষ্টা করবো। যেই দক্ষতা আছে তা নিয়েই এগিয়ে যাবো।’
এছাড়াও তার বোলিয়ের অস্ত্র ইয়র্কার বল নিয়েও কাজ করে যাচ্ছেন। তবে তার মতে অনুশীলনের পাশাপাশি ইয়ার্কার বল করতে প্রয়োজন আত্মবিশ্বাস। সেটি না থাকলে কোনো অনুশীলনই কাজে আসবে না। তিনি বলেন, ‘ইয়র্কার এমন একটি ডেলিভারি, যার সবই আত্মবিশ্বাসের ওপর নির্ভর করে। আপনি সারাদিনও অনুশীলনে শতভাগ চেষ্টা করেন কিন্তু ম্যাচে ইয়র্কার করার সময় আত্মবিশ্বাসী না থাকেন তাহলে লো ফুলটস অথবা হাফভলি হয়ে যাবে। অবশ্যই অনুশীলন দরকার, তবে নিজের দক্ষতায় আত্মবিশ্বাস রাখা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যে যত বেশি আত্মবিশ্বাসী হবে, সে তত ভালো বোলিং করতে পারবে সেটা যে বলই হোক।’ অন্যদিকে অনুশীলনে সুযোগ না পেলে অবসরেও ক্রিকেটের বাইরে থাকেন না সাইফুদ্দিন। অবসরে নিজের বোলিংয়ের ভিডিওগুলো দেখেন বারবার। আর নিজের ভুলগুলোকে কীভাবে শুধরানো যায় তার পরিকল্পনা করেন। তিনি বলেন, ‘অবসর সময়ে বা যখন কাজ থাকে না, সময় যেতে চায় না, তখন নিজের খেলার পুরানো ভিডিওগুলো দেখি। যেগুলো ভালো বোলিং করেছিলাম, সেগুলো দেখা হয়। এগুলো দেখার সময় একটা বাড়তি উদ্দীপনা কাজ করে। আত্মবিশ্বাস আসে যে আমি ভালো করেছি এবং সামনে আরও ভালো করবো। এগুলো দেখেই নিজেকে মোটিভেট করি।’