× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নতুন করে আলোচনায় বোরকা নিয়ে বৃটেনের নতুন সংস্কৃতি মন্ত্রীর বক্তব্য

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(২ বছর আগে) সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২১, শুক্রবার, ৪:৪২ অপরাহ্ন

বৃটেনের নতুন সংস্কৃতি মন্ত্রী নাদিন ডরিস ইসলামোফোবিয়ায় ভুগছেন বলে নতুন করে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তিনি একাধিক টুইট করেছেন যেগুলো পরে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। এছাড়া স্কাই নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারেও তিনি বোরকাকে মধ্যযুগীয় পোশাক বলে আখ্যায়িত করেছিলেন। তার সেসব মন্তব্যে ইসলাফোবিয়ার আঁচ রয়েছে বলে এখন নতুন করে অভিযোগ করছেন নেটিজেনরা।

আল-জাজিরার খবরে জানানো হয়েছে, এ সপ্তাহে বৃটেনের মন্ত্রীসভায় বড় ধরণের পরিবর্তন আনা হয়েছে। এতে নারী মন্ত্রীরা বেশ কিছু নতুন পদ পেয়েছেন। এরমধ্যে ৬৪ বছরের নাদিন ডরিসও রয়েছেন যাকে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের মতো তারও নানা ইস্যুতে বিতর্কিত মন্তব্য করার ইতিহাস রয়েছে।
২০১৮ সালে জনসন এক সংবাদপত্রে লিখেছিলেন, বোরকা হচ্ছে নিপীড়নের প্রতিক। যেই নারীরা বোরকা পরেন তাদেরকে ব্যাংক ডাকাত ও চিঠির বাক্সের মতো লাগে বলেও ভর্তসনা করেন জনসন। এই লেখাটি নিয়েও মন্তব্য করেছিলেন ডরিস। স্কাই নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, বরিস জনসন যে কলামটি লিখেছিলেন তা আমাকে হতাশ করেছে কারণ তিনি সেখানে বোরকার মতো মধ্যযুগীয় পোশাক নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানাননি। বোরকা নারীর সৌন্দর্য্য ও আঘাতের চিহ্নকে ঢেকে রাখে। ডরিস আরও বলেন, নারীরা কী পরবেন তা বেছে নেয়ার অধিকার তাদের আছে। কিন্তু অনেক নারীই সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত। এমনকি তারা কাকে বিয়ে করবেন তাও নিজেরা নির্ধারণ করতে পারেন না। এছাড়া ডরিসকে বিভিন্ন সময়ে ডানপন্থি আদর্শ প্রচার করতে দেখা গেছে। অনলাইনেও সরব বৃটিশ এই মন্ত্রী। তিনি একাধিকবার জানিয়েছেন, একটি উদার সমাজে বোরকার মতো 'মধ্যযুগীয়' পোশাকের কোনো স্থান নেই বলেই বিশ্বাস করেন তিনি। কোনো প্রগতিশীল রাষ্ট্রই বোরকাকে মেনে নেবে না বলে টুইটারে লিখেছিলেন ডরিস।  

বৃটেনে ৩০ লাখেরও বেশি মুসলিমের বসবাস। তবে সেখানে খুবই সামান্য কিছু মানুষকে বোরকা পরতে দেখা যায়। তবে এ নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক জরিপ নেই। ইউরোপের অনেক দেশেই বোরকা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এরপরেও প্রায়ই দেখা যায় জাতীয় ইস্যুতে পরিণত হচ্ছে ধর্মীয় এ পোশাকটি। অনেক বিখ্যাত ব্যাক্তিকেই এ নিয়ে কথা বলতে দেখা যায়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর