অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের সঠিক পথে রয়েছে। তারপরেও, অপ্রত্যাশিত অভিঘাত কোভিড-১৯ সৃষ্ট প্রতিবন্ধকতা হ্রাস করার লক্ষ্যে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জনকারী এলডিসিগুলোকে ট্রানজিশন এবং ট্রানজিশন পরবর্তী পর্যায়ে আন্তর্জাতিক সহায়তা এবং প্রণোদনা প্যাকেজ দেয়া প্রয়োজন। গতকাল অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল এবং এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনইএসসিএপি) নির্বাহী সচিব সৌজন্য সাক্ষাৎ (ভার্চ্যুয়াল) করেন। সাক্ষাতে আগামী ২০-২২ অক্টোবর, ২০২১ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য গacroeconomic Policy, Poverty Reduction and Financing for Development (MPFD) সভায় বাংলাদেশের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ বিষয়ে আলোচনা হয়।
মন্ত্রী নীতিগত পরামর্শমূলক সেবা, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করে নানাভাবে বাংলাদেশকে সাহায্য করায় ইউএনইএসসিএপি প্রতি কৃজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। পাশাপাশি বাংলাদেশের জন্য ইউএনইএসসিএপি-এর সহায়তা অব্যাহত রাখতে এবং আরও শক্তিশালী করতে আশা ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সহনশীলতা ও প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় নেতৃত্বের উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যদিও সকল দেশের মতো কোভিড-১৯ মহামারি আপাতত আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে বাধা সৃষ্টি করেছে। তথাপিও, আমাদের অসাধারণ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক এই কোভিড-১৯ ক্রান্তিকালে গৃহীত বিচক্ষণ আর্থিক এবং মুদ্রানীতির কারণে আমরা চ্যালেঞ্জগুলো সফলভাবে পরিচালনা করতে পেরেছি। জীবন ও জীবিকার মধ্যে দূরদর্শী ভারসাম্য নিশ্চিত করে অর্থনৈতিক কার্যক্রমে স্বাভাবিকতা ফিরে আসছে।
অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের সঠিক পথে রয়েছে। তারপরেও, অপ্রত্যাশিত অভিঘাত কোভিড-১৯ সৃষ্ট প্রতিবন্ধকতা হ্রাস করার লক্ষ্যে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জকারী এলডিসিগুলোকে ট্রানজিশন এবং ট্রানজিশন পরবর্তী পর্যায়ে আন্তর্জাতিক সহায়তা এবং প্রণোদনা প্যাকেজ দেয়া প্রয়োজন। বাণিজ্য সুবিধা, ডিজিটাল বাণিজ্য, সীমান্তে কাগজবিহীন বাণিজ্য, পুঁজিবাজার উন্নয়ন, পিপিপি নেটওয়ার্ক, টেকসই মাল্টিমোডাল পরিবহন, জ্বালানি নীতি এবং পরিকল্পনার ক্ষেত্রে আরো প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং ক্ষমতা বৃদ্ধির সহায়তার জন্যও ইউএনইএসসিএপিকে অর্থমন্ত্রী অনুরোধ করেন।