লাল তালিকা থেকে বাংলাদেশের নাম তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বৃটেন। আগামী ২২শে সেপ্টেম্বর লন্ডনের স্থানীয় সময় ভোর চারটা (বাংলাদেশ সময় সকাল ৯ টা) থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। বৃটিশ ফরেন এন্ড কমনওয়েলথ অফিসের বরাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন লন্ডনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম। বৃটিশ ফরেন এন্ড কমনওয়েলথ অফিসকে হ্যাশট্যাগ দিয়ে তিনি এক টুইটবার্তায় লেখেন, বাংলাদেশিরা ২২শে সেপ্টেম্বর থেকে বৃটেনে প্রবেশ করলে তাদের দশদিন হোটেল কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে না। উল্লেখ্য, রেডলিস্টে থাকা অবস্থায় বাংলাদেশে আটকে পড়া বৃটিশ নাগরিকদের বৃটেনে প্রবেশের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক দশদিনের হোটেল কোয়ারেন্টিন করতে হতো। এজন্য তাদেরকে ২২শ' ৮৫ পাউন্ড গুনতে হতো।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বৃটিশ পার্লামেন্ট সদস্য, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, লন্ডনের হাইকমিশনের তৎপরতা আর কমিউনিটির মানুষের দাবির মুখে এ ভোগান্তির অবসান হতে যাচ্ছে। তথ্য বিশ্লেষক ও ভ্রমণ বিশেষজ্ঞ টিম হোয়াইট বলেছেন- রেড লিস্ট থেকে বাংলাদেশ ছাড়াও পাকিস্তান, শ্রীলংকা, মালদ্বীপ, তুরস্ক, কেনিয়া, ওমান, মিশর বাদ পড়েছে।
সংক্রমণের হার কমে আসায় অতি ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকা (রেড লিস্ট) থেকে বাংলাদেশসহ অন্য দেশগুলোর নাম সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বৃটেন।
গত ৯ এপ্রিল থেকে বৃটেনের রেড লিস্টে রয়েছে বাংলাদেশ।
এ কারণে প্রায় ৭ হাজার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বৃটিশ নাগরিক ঢাকায় আটকা পড়ে আছেন। রেড লিস্ট থেকে নাম প্রত্যাহার হওয়ায় এখন পূর্ণ ডোজ টিকা নেওয়া থাকলেও বৃটিশ ট্রাভেলাররা দেশটিতে ঢুকতে পারবেন। উপসর্গ না থাকলে তাদের বৃটেন যাওয়ার আগে ৩ দিনের মধ্যে করোনার পরীক্ষাও করাতে হবে না। গত ৬ সেপ্টেম্বর দ্বিপাক্ষিক ভার্চুয়াল বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বৃটেনের রেড লিস্ট থেকে বাংলাদেশের নাম সরিয়ে নিতে বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাবকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন। এর দু'দিনের মাথায় অনুষ্ঠিত স্ট্র্যাটেজিক ডায়ালগেও এ নিয়ে আলোচনা হয় এবং নাম প্রত্যাহারের অনুরোধ পুনর্ব্যক্ত করে বাংলাদেশ।