× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আফগানিস্তানে সহযোগিতা শক্তিশালী করতে একমত চীন, রাশিয়া, পাকিস্তান ও ইরান

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(২ বছর আগে) সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২১, শনিবার, ১০:৫৪ পূর্বাহ্ন

আফগান ইস্যুতে সহযোগিতা শক্তিশালী করতে একমত হয়েছে চীন, রাশিয়া, পাকিস্তান ও ইরান। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার তারা তাজিকিস্তানের রাজধানী দুশানবে’তে একটি আনুষ্ঠানিক বৈঠকে যোগ দেন। উপস্থিত ছিলেন চীনের স্টেট কাউন্সিলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি এবং ইরানের পররাষ্ট্রবিষয়ক সহকারী মন্ত্রী সৈয়দ রাসুল মুসাভি। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা সিনহুয়া। ওই বৈঠকে আফগানিস্তানে মসৃণ ক্ষমতা হস্তান্তরে গঠনমূলক ভূমিকা নিতে, চারটি দেশের মধ্যে যোগাযোগ ও সহযোগিতা শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তা, একই সুরে কথা বলা এবং ইতিবাচক ভূমিকা নেয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। এক্ষেত্রে আফগানিস্তান ইস্যুতে সহযোগিতার জন্য দেশ চারটির মধ্যে পাঁচ দফা প্রস্তাব উত্থাপন করেন তিনি। প্রথমত, যুক্তরাষ্ট্রকে দ্রুততার সঙ্গে তার বাধ্যবাধকতা পূরণের এবং দায়িত্ব নিতে আহ্বান জানানো হয়। আফগানিস্তানের পুনর্গঠন, অর্থনীতি, জীবনধারা এবং মানবিক সহায়তা দেয়ার জন্য প্রাথমিকভাবে দায়িত্ব যুক্তরাষ্ট্রের কাঁধে নেয়ার জন্য আহ্বান জানাতে চারটি দেশের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

দ্বিতীয়ত, আফগানিস্তানের সঙ্গে যুক্ত থাকা এবং তাদেরকে নির্দেশনা দেয়ার আহ্বান জানান ওয়াং ই। বলা হয়, আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা এবং ভূখণ্ডের অখণ্ডতার প্রতি শ্রদ্ধার অংশ হিসেবে চারটি দেশকেই আফগান জনগণের উন্নয়নের পথ বেছে নেয়ার স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতে বলা হয়। আফগানিস্তানকে একটি বিস্তৃত এবং অংশগ্রহণমূলক রাজনৈতিক কাঠামো প্রতিষ্ঠার জন্য এগিয়ে দিতে হবে। বাস্তবায়ন করতে হবে উদার আভ্যন্তরীণ ও পররাষ্ট্র বিষয়ক নীতি। প্রতিবেশীদের সঙ্গে তাদের গড়ে তুলতে হবে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। সংখ্যালঘু, নারী ও শিশুদের মৌলিক অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতে হবে।
তৃতীয়ত, নিরাপত্তা ঝুঁকির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আশা করা হয় যে, আফগানিস্তানের নতুন সরকার তার প্রতিশ্রুতির প্রতি সম্মান দেখাবে, নিজেদের পরিষ্কার ইমেজ বের করে আনবে। বিশেষ করে যেসব সন্ত্রাসী গ্রুপ প্রতিবেশী দেশগুলোকে টার্গেট করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
চতুর্থত, আফগানিস্তানকে সহায়তার জন্য সব পক্ষকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। আফগানিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী হিসেবে এই চারটি দেশ শুধুই আফগানিস্তানে জরুরি সহায়তা দেবে এমনটা হওয়া উচিত নয়। একই সঙ্গে আফগান জনগণকে কঠিন বাস্তবতা থেকে উদ্ধারে আঞ্চলিক দেশ এবং আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোকে উৎসাহিত করতে হবে।
পঞ্চমত, আঞ্চলিক সহযোগিতায় আফগানিস্তানের যোগ দেয়ায় সাহায্য করতে হবে। দীর্ঘ মেয়াদে এই চারটি দেশ আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নের ভিত্তিতে আফগানিস্তানকে স্বাধীনতা এবং স্থিতিশীল উন্নয়নে সহায়তা করতে পারে। তাদেরকে যুক্ত করতে পারে আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও সংযুক্তি বিষয়ক নেটওয়ার্কের সঙ্গে।
ওয়াং ই বলেন, আফগানিস্তানে নতুন সরকারের কাছে প্রধান তিনটি প্রত্যাশা আছে আঞ্চলিক দেশগুলোর। তা হলো, সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থান নেয়া এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক। বৈঠকে অন্য অংশগ্রহণকারীরা বলেন, এই চারটি দেশের উচিত আফগান জনগণকে একটি পরিষ্কার সংকেত পাঠানো যে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আফগান জনগণের হাতে তাদের নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণের পরিবেশ দিয়েছে। তাদেরকে সুযোগ দিয়েছে সবার অংশগ্রহণমূলক একটি সরকার প্রতিষ্ঠার।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর