৯৯ বছর বয়সে গত ৯ এপ্রিল উইন্ডসর প্রাসাদে মৃত্যু হয় প্রিন্স ফিলিপের। রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রয়াত স্বামী প্রিন্স ফিলিপের উইল ৯০ বছর গোপন রাখা হবে বলে নির্দেশ দিল বৃটেনের হাইকোর্টের বিচারক অ্যান্ড্রু ম্যাকফারলেন । রাজার মৃত্যুর পর লন্ডনের হাইকোর্টে ফ্যামিলি ডিভিশনে একটি আবেদন করা হয়েছিল যে, ফিলিপের উইল সিল থাকবে এবং জনসাধারণের জন্য উপলব্ধ হবে না। সার্বভৌমত্বের মর্যাদা রক্ষার লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে আদালতের তরফে জানানো হয়েছে । আদালতের পারিবারিক বিভাগের সভাপতি অ্যান্ড্রু ম্যাকফারলেন রাজকীয় অনুরোধের পক্ষে রায় দেন । বিচারক জানান , প্রিন্সের উইলটি সিল করা উচিত এবং উইলের কোনও অনুলিপি রেকর্ডের জন্য তৈরি করা উচিত নয় বা আদালতের ফাইলে রাখা উচিত নয়। তবে এর আগেও রাজাদের উইল গোপন রাখার চল রয়েছে রাজ পরিবারে, কিন্তু সাধারণ মানুষের জ্ঞাতার্থে প্রিন্স ফিলিপের নাম সামনে আনলেন বিচারক অ্যান্ড্রু ম্যাকফারলেন। ম্যাকফারলেন বলেন, "এই ধরণের মানুষের জীবনের সত্যিকারের ব্যক্তিগত দিকগুলির সুরক্ষা বাড়ানোর প্রয়োজন আছে যাতে সার্বভৌম এবং তার পরিবারের ঘনিষ্ঠ সদস্যদের মর্যাদা বজায় থাকে।"সর্বশেষ যার উইল গোপন করা হয়েছে তিনি হলেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মা এলিজাবেথ এবং তার বোন প্রিন্সেস মার্গারেটের।
এছাড়াও রাজ্ পরিবারের ৩০ টি খামবন্দি গোপন উইল সংরক্ষণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আদালত। যার মধ্যে আছে প্রিন্স ফ্রান্সিস ,রানী মেরির ছোট ভাই এবং রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের বড় কাকার উইল। যিনি ১৯১০ সালে ৪০ বছর বয়সে নিউমোনিয়ায় মারা যান। রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের আইনজীবী এবং অ্যাটর্নি জেনারেল চেয়েছিলেন ফিলিপের উইল ১২৫ বছরের জন্য গোপন রাখার আবেদনে সীলমোহর দেওয়া হোক , কিন্তু বিচারক ৯০ বছর তা গোপন রাখার পক্ষে রায় দেন। প্রায় ৭০ বছর একসঙ্গে জীবন কাটান প্রিন্স ফিলিপ ও ৯৫ বছর বয়সী রানি এলিজাবেথ । বৃটিশ রাজপরিবারের ইতিহাসে তিনি কোনও রাজা বা রাণির সবচেয়ে দীর্ঘদিনের জীবনসঙ্গী ছিলেন।
সূত্র : দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট