× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

১০ টাকা কেজির চাল নিতে গিয়ে ঘাড় ধাক্কা খেলেন নারী, বৃদ্ধকে চড়থাপ্পড়

বাংলারজমিন

ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, রবিবার

টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নে ১০ টাকা কেজি দরের চাল কিনতে গিয়ে ঘাড় ধাক্কা খেলেন এক নারী। চাল না দিয়ে তার ফেয়ার প্রাইজের কার্ডও কেড়ে নেয়া হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
স্থানীয়রা জানান, মির্জাপুর ইউনিয়নের ৭ ও ৮নং ওয়ার্ডে ফেয়ার প্রাইজের ডিলার মীর আল মামুনের চাল বিক্রির স্থান হলো দৌলতপুর মিয়া মার্কেটে। কিন্তু তিনি নির্ধারিত স্থানে চাল না তুলে দুই কিলোমিটার দূরে নিজ বাড়িতে তোলেন। ফলে তিন থেকে চার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ক্রেতাদের সেখানে চালের জন্য যেতে হয়। উত্তর মান্দিয়া গ্রামের সাদেক হোসেনের স্ত্রী রীপা বেগম জানান, গেল বুধবার সকাল ১০টার দিকে তিনি চালের জন্য দৌলতপুর গ্রামে ডিলার মীর আল মামুনের বাড়িতে যান। সেখানে তাকে দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রাখা হয়। তার সঙ্গে আরো প্রায় পঞ্চাশজন গ্রাহক সেখান বসা ছিলেন। ঘণ্টা তিনেক পর অসুস্থ রীপা বেগম বাড়িতে বাচ্চা রেখে আসায় তার চাল দেয়ার অনুরোধ জানান।
তখন ডিলার মীর মামুনের সামনে বসা তার বড় ভাই মোখলেছ তেড়ে আসেন। শুরু করেন গালিগালাজ। একপর্যায়ে রীপাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। রীপা কান্নাকাটি শুরু করলে মোখলেস তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
চাল নিতে আসা অপর দিনমজুর এবং মান্দিয়া গ্রামের বাসিন্দা চানু মিয়া জানান, সবার সামনে গালিগালাজ এবং অসুস্থ রীপাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়ার প্রতিবাদ করায় মোখলেস তাকেও চড়থাপ্পড় দেন। দিনমজুর স্বপা বেগম জানান, ওইদিন চালের জন্য গেলে তাদেরকে টানা ৪ ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয়। ডিলার মামুনের বড় ভাই মোখলেছ দীর্ঘদিন ধরে ফেয়ার প্রাইজের চাল কেনার ব্যবসা করেন। কেউ তাদের বাড়িতে চাল কিনতে গেলেই তার টিপসহি রেখে চালের বিনিময়ে টাকা দেয়া হয়। কেউ চাল বিক্রি করতে না চাইলে তাকে হয়রানি করা হয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয়। ওইদিন অসুস্থ রীপা বেগম মানবিক কারণে আগে ভাগে চাল দেয়ার অনুরাধ জানালে তাকে মারপিট করা হয়। আরেক দিনমজুর একাব্বর জানান, সবার সামনে এভাবে রীপাকে নির্যাতন করায় এবং চাল বিক্রিতে রাজি না হওয়া অন্যদের গালিগালাজ ও মারপিটের হুমকি দেয়ায় ভয়ে চাল না নিয়ে অনেকেই ফিরে আসে। মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হালিমুজ্জামান তালুকদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তবে ডিলার মীর মামুন জানান, কাউকে গলা ধাক্কা দেয়া হয়েছে কিনা তিনি জানেন না। সব নিয়ম মেনেই চাল বিতরণ করা হচ্ছে।
উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা হোসাইন আবদুল্লাহ মোহাম্মদ জানান, ওই ডিলারকে আর বাড়িতে নয়, মোকামে চাল বিক্রি করতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাদিয়া ইসলাম সীমা জানান, লিখিত অভিযোগ তিনি এখনো পাননি। অভিযোগ পেলে নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর