× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সিআইডি পরিচয়ে প্রতারণা ব্যবসায়ীর

দেশ বিদেশ

ফাহিমা আক্তার সুমি
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, রবিবার

হাবিবুল্লাহ তালুকদার অভি। নিজেকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক হিসেবে পরিচয় দেন। তবে তিনি সিআইডির পরিদর্শক নন পেশায় একজন ব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ও রাস্তায় পুলিশের পরিচয় দিয়ে প্রতারণা ও বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম করে আসছেন। এই মিথ্যা পরিচয়কে মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে কোমরে রাখতেন ওয়্যারলেস। মোটরসাইকেলে ব্যবহার করতেন ডিএমপি লেখা নম্বর প্লেট। তবে এবার তিনি পুলিশের কাছে মিথ্যা এই পরিচয় দিতে গিয়েই অবশেষে ধরা খেলেন।
গত শুক্রবার বিকালে রাজধানীর গাবতলী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট ঝোটন সিকদার।
তিনি বলেন, গাবতলী গরুরহাট ক্রসিংয়ে ডিউটি করার সময় নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে একটি মোটরসাইকেল  সংকেত দিয়ে কাগজপত্র দেখতে চাই। মোটরসাইকেল আরোহী তখন নিজেকে পুলিশ ইন্সপেক্টর মো. হাবিবুল্লাহ সিআইডিতে কর্মরত আছেন বলে পরিচয় দেন। তার কোমরে একটি ওয়্যারলেস দৃশ্যমান ছিল। তার দেয়া সন্দেহজনক মনে হলে আরও প্রশ্ন করার একপর্যায়ে তিনি স্বীকার করেন যে, তিনি পুলিশের মিথ্যা পরিচয় দিয়ে ওয়্যারলেস সঙ্গে নিয়ে বিভিন্নস্থানে ঘুরে বেড়ান।
তিনি আরও বলেন, এ সময় তার সঙ্গে থাকা মোটরসাইকেলের বৈধ কাগজপত্রও ছিল না। নম্বর প্লেটে ছিল না কোনো বৈধ রেজিস্ট্রেশন নম্বর। মোটরসাইকেল থামালে চালক নিজেকে সিআইডি পুলিশের ইন্সপেক্টর হিসেবে পরিচয় দেন। তখন পরিচয়পত্র দেখতে চাইলে তিনি বাইক নিয়ে দ্রুত চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে গ্রেপ্তার করা হয়। সেখানেও পুলিশের ইন্সপেক্টর হিসেবে তার পরিচয় ভুয়া হিসেবে নিশ্চিত হওয়ার পর আমরা তাকে মোটরসাইকেল ও ওয়্যারলেস সেটসহ সংশ্লিষ্ট থানায় বুঝিয়ে দেই। তার বিরুদ্ধে দারুস সালাম থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দারুস সালাম থানার পুলিশের এসআই আসাদুজ্জামান বলেন, আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে তার নাম, ঠিকানা প্রকাশ করে। একপর্যায়ে স্বীকার করে যে, সে ঢাকা শহরের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ও রাস্তায় পুলিশের পরিচয় দিয়ে প্রতারণামূলকভাবে বিভিন্ন অপকর্ম করেন। আসামির দেহ তল্লাশি করে তাহার হেফাজত হতে একটি কালো-সবুজ রংয়ের মোটরসাইকেল, একটি কালো রংয়ের বেতার যন্ত্র (ওয়াকিটকি), পাসপোর্ট, মোবাইল-সিম জব্দ করা হয়। আসামি নাম-ঠিকানা প্রকাশ করে এবং তার কাছে থাকা ওয়াকিটকির কোনো সঠিক উত্তর দিতে পারেনি। সরকারি কর্মচারীর মিথ্যা পরিচয় দিয়ে প্রতারণামূলকভাবে সরকারি কর্মচারী ব্যবহার্য জিনিস বেতার যন্ত্র (ওয়াকিটকি) ব্যবহার করায় পেনাল কোড আইনের ১৭০/ ১৭১ ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে গতকাল আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তার বাড়ি ঢাকার সাভারে। সে পেশায় একজন ব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন ধরে এলইডি লাইটের ব্যবসা করে আসছেন। ওয়াকিটকিটা একজন সিকিউরিটির কাছ থেকে কিনেছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর