× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ক্যাসিনো কাণ্ডের দুই বছর / আজও তালা ঝুলছে সেই ক্লাবগুলোতে

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, রবিবার

২০১৯ সালের ১৮ই সেপ্টেম্বর রাজধানীর ইয়ংমেনস ফকিরেরপুল ক্লাব দিয়ে শুরু হয়েছিল আলোচিত ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান। ওই দিনই অভিযান চলে ঢাকা ওয়ান্ডারার্স, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র ও বনানীর একটি ক্লাবে। ওই বছরের ২২শে সেপ্টেম্বর আরামবাগ, দিলকুশা, ভিক্টোরিয়া, মোহামেডান এবং তার আগে ২০শে সেপ্টেম্বর কলাবাগান ক্লাবে ক্যাসিনো বন্ধে হানা দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাৎক্ষণিকভাবে মতিঝিল ক্লাবপাড়ায় র‌্যাব সিলগালা করে দেয় ইয়ংমেনস, ওয়ান্ডারার্স ও মুক্তিযোদ্ধা ক্লাব। এরপর আরামবাগ, দিলকুশা, ভিক্টোরিয়া, মোহামেডানে তালা মারে মতিঝিল থানা-পুলিশ। সাময়িকভাবে সেটার হয়তো দরকারও ছিল। কিন্তু দুই বছর পেরোলেও বন্ধ ক্লাবগুলো সম্পূর্ণ রূপে খুলে দেয়া হয়নি। কোনো ক্লাব বাইরে থেকে তালা বন্ধ।
আবার কোনটির খেলোয়াড় ডরমেটরি খোলা থাকলেও অফিস বন্ধ। আবার কেউ কেউ খেলোয়াড়দের বাইরে রেখেই খেলায় অংশ নিচ্ছে। তবে খেলাধুলার স্বার্থে এসব ক্লাব খুলে দেয়ার পক্ষে কর্মকর্তারা। ঐতিহ্যবাহী ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের সহসভাপতি নিজামউদ্দিন চৌধুরী পারভেজ বলেন, ‘সরকারের নির্দেশনায় প্রায় দু’বছর ধরেই বন্ধ রয়েছে ক্লাবের কার্যক্রম। তারপরও আমরা বসে থাকিনি। প্রথম বিভাগ ফুটবল লীগ শেষ করেছি পঞ্চম স্থানে থেকে। সামনেই হকি, ক্রিকেট, বক্সিং, কাবাডি এবং সাইক্লিংয়ের জন্য খেলোয়াড়দের আবাসনের জন্য আমাদের ডরমেটরি প্রয়োজন। সরকারের কাছে আমাদের আর্জি খেলাধুলার স্বার্থে যেন ক্লাব খুলে দেয়া হয়। কারণ, এত খেলোয়াড় বাইরে নিয়ে রাখা সম্ভব নয়।’ আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী বলেন, ‘দুই বছর ধরে ক্লাব বন্ধ। চরম বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছি।’
এদিকে দেরিতে হলেও এসব বন্ধ ক্লাব খুলে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।  এ বিষয়ে, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মো. মাসুদ করিম বলেন ক্রীড়া পরিষদের চেয়ারম্যান ও প্রতিমন্ত্রী মহোদয় আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন বন্ধ ক্লাবগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে আলোচনা করতে। আলোচনা থেকে যে বিষয় ও সম্ভাবনাগুলো বেরিয়ে আসবে, তা আমরা প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের কাছে উপস্থাপন করবো। তিনি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলবেন। স্বরাষ্ট্র, বাণিজ্য ও সমাজকল্যাণসহ যেসব মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন হবে আমাদের চেয়ারম্যান তাদের সঙ্গে কথা বলবেন। যা হবে আস্তঃমন্ত্রণালয়ের সভার মতো।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর