× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মেরিনার্স ও মোহামেডানের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, রবিবার

ফুটবলে খেলোয়াড় অপহরণের ঘটনা ঘটেছে অনেক। এবার  সেই ঘটনা ঘটেছে হকিতে। দুই বছর পর আজ শুরু হচ্ছে হকির দলবদল, তার ঠিক দুই দিন আগে শুক্রবার রাতে মতিঝিল পাড়ায় ঘটেছে এই ঘটনা। ঘটনার সূত্রপাত ডিফেন্ডার সারোয়ার মোর্শেদ শাওনকে কেন্দ্র করে। মেরিনার্সের অভিযোগ, তাদের চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড় শাওন নওগাঁর বাড়ি থেকে রওয়ানা হয়ে ঢাকায় আসার পর তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায় মোহামেডান। সেখান থেকে তারা শাওনকে উদ্ধার করে ক্লাবে নিয়ে আসে। অন্যদিকে মোহামেডান জানিয়েছে শাওন তাদেরই খেলোয়াড়। তাকে মেরিনার্সের কর্মকর্তারা ক্লাব ভাংচুর করে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে।
বিষয়টি থানা পর্যন্ত গড়ালেও এখন সাদা-কালো ক্লাবে খেলার কথা জানিয়েছেন শাওন।
এ ঘটনায় গতকাল আকস্মিক এক সংবাদ ডাকে মেরিনার্স ক্লাব। সেখানে সহসভাপতি আলমগীর কবির বলেন, ‘গত ৯ই সেপ্টেম্বর আমরা শাওনের বাড়ি নওগাঁয় গিয়ে স্ট্যাম্পে চুক্তি করাই। তিন লাখ ৮০ হাজার টাকায় তার সঙ্গে আসন্ন মৌসুমের জন্য চুক্তি হয়েছে আমাদের। যার মধ্যে দু’লাখ টাকা অগ্রিম দিয়েছি। শাওন টাকা গুনে বুঝে নিয়েছে সেই ছবিও আমাদের কাছে রয়েছে। স্ট্যাম্পের কপিও মিডিয়াতে সরবরাহ করেছি।’ তিনি যোগ করেন, ‘১৬ই সেপ্টেম্বর শাওন নওগাঁ থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। কিন্তু অবাক হলেও সত্যি যে, গাবতলী আসার পর তাকে বহনকারী গাড়িটি নিয়ে যাওয়া হয় মিরপুরে। এরপর তার সঙ্গে আমাদের সকল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে আমরা জানতে পারি সে মোহামেডান ক্লাবে রয়েছে। শুক্রবার রাতে আমরা সেখানে গিয়ে তাকে নিয়ে সরাসরি মতিঝিল থানায় যাই জিডি করতে।’ সহসভাপতি আরও বলেন, ‘থানায় ডিউটিরত অফিসার ওসি এবং এসির কাছে তাকে অপহরণের লোমহর্ষক বর্ণনা দেয় শাওন। কিন্তু জিডির পরও থানা কর্তৃপক্ষ শাওনকে মোহামেডানে যেতে দেয়। ক্রীড়াঙ্গনে নজীরবিহীন এমন অনাচার কাজের আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’ শাওনের বাবার সঙ্গে কথা বলে এই ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।
মেরিনার্সের এক কর্মকর্তার সঙ্গে শাওনের বাবার কথোপকথনে জানা গেছে, মোহামেডানের চাপে নিজের অবস্থান পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে শাওন। এদিকে মোহামেডান ক্লাবের হকি ম্যানেজার আরিফুল হক প্রিন্স এসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘শাওন আমাদের চুক্তিভুক্ত খেলোয়াড়। আমরা তাকে সাড়ে চার লাখ টাকা দিয়ে আগেই চুক্তিভুক্ত করিয়েছি।
তাছাড়া ফেডারেশনের বাইলজ অনুযায়ী টোকেন যার খেলোয়াড় তার। আমাদের হয়েই দলবদলে অংশ নেবে শাওন। থানার ওসির সামনেও সে আমাদের দলে খেলার স্বীকৃতি দিয়েছে।’ প্রিন্স বলেন, ‘শুক্রবার রাতে মেরিনার্সের কর্মকর্তা ও সমর্থকরা মোহামেডান ক্লাবে ঢুকে ভাংচুর করেছে।’ এক খেলোয়াড়কে নিয়ে দুই ক্লাবের রশি টানাটানির ঘটনায় হকি ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘ক্লাবগুলোই নিয়ম করেছে যে, টোকেন যার খেলোয়াড় তার। আমরা যার টোকেন পাবো শাওন তাদের। আরেকটি নিয়মও রয়েছে, কোনো খেলোয়াড় যদি নিরাপত্তার কারণে দলবদল করতে ফেডারেশনে আসতে না পারে, তাহলে আমরা ক্লাবে গিয়ে তার টোকেন নিয়ে আসবো। এর বেশি কিছু করার নেই আমাদের।’ বিকাল ৪টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত চলবে পাঁচ দিনব্যাপী দলবদল।

অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর