পুলিশ আর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পাহারায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক হয়েছে শনিবার। এরআগে এমন পরিবেশে কখনো বৈঠক হয়নি। এনিয়ে উত্তেজনারও সৃষ্টি হয়। শহরের সুর স¤্রাট আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনে এ বৈঠককে কেন্দ্র করে প্রায় একশ’ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়। আর কয়েক’শ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী জড়ো হন বৈঠকস্থলের ফটকের সামনে। এসময় তারা স্লোগান দিয়ে মিছিলও করে। তবে শেষ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে বৈঠকটি শেষ হয়। সভায় আগামী ২৭শে নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
এছাড়া আগামী ১০ অক্টোবর থেকে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে কসবা, আখাউড়া, নবীনগর, নাসিরনগর, সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলা শাখার সম্মেলন সম্পন্ন করারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় উপজেলাগুলোতে স্থানীয় সাংসদদের সাথে সমন্বয় করে সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ ও সম্মেলন সম্পন্ন করার জন্য জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি, যুগ্ম-সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলায় থাকা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্যদের সমন্বয়ে কয়েকটি সাংগঠনিক টিমও গঠন করা হয়। সভায় জানানো হয়, আগামী ৬ অক্টোবর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক টিমের উপস্থিতিতে তৃণমূল প্রতিনিধি সভা ও ৭ অক্টোবর বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলামকে ইতিপূর্বে দেয়া কারন দর্শাও নোটিশের সময়সীমা আরো ৩ দিন বৃদ্ধি করা হয়। জেলা আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদকের বিরুদ্ধে ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দেয়ায় এরআগে নজরুলকে ১০ দিনের সময় দিয়ে কারণদর্শাও নোটিশ দেয়া হয়েছিলো। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সদর সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকারের সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি তাজ মো. ইয়াছিন, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবীর, হেলাল উদ্দিন, মুজিবুর রহমান বাবুল, জাতীয় পরিষদ সদস্য আবুল কালাম ভূঞা, যুগ্ম-সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, মঈন উদ্দিন মঈন, সাংগঠনিক সম্পাদক এড. মাহবুবুল আলম খোকন, আবদুল হান্নান রতন প্রমুখ।
সভায় জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, আমরা গত দুবছর ধরেই জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন করার জন্য প্রস্তুুত আছি। করোনার কারণে বিলম্বিত হয়েছে।