অনলাইন

স্বামী হত্যার অভিযোগে মালয়েশিয়ায় মৃত্যুদণ্ড থেকে মুক্ত বৃটিশ নারী দেশে ফিরলেন অনামিকায় আংটি পরে!

২০২১-০৯-১৯

বৃটিশ দম্পতি জন জোন্স এবং সামান্থা জোন্সের জীবন ভালোই কাটছিলো। দুজনই ছিলেন চাকরি থেকে অবসরপ্রাপ্ত। বাড়ি সমারসেটে হলেও বিয়ের পর দুনিয়াজুড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন এই দম্পতি। ২০০২ সালে মালয়েশিয়ায় ঘুরতে এসে দেশটির ল্যাংকাউই দ্বীপের প্রেমে পড়ে যান দুজনই। সেখানেই বাড়ি কিনে স্থায়ী হন।

ভিনদেশে ভালোই কাটছিলো জীবন। কিন্তু অল্প কিছুদিন পরই সামান্থার জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠে। বাইরে গিয়ে বন্ধুদের সাথে মাদকের নেশায় বুদ হয়ে থাকতেন জন। আর বাসায় এসে স্ত্রীকে মারধর করতেন। সহ্য করে যাচ্ছিলেন সামান্থা। কিন্তু ২০১৮ সালের এক অক্টোবরে মাতাল জন বাড়িতে এসে তাকে প্রচণ্ডভাবে মুখে ও বুকে মারতে শুরু করলে নিজেকে বাঁচাতে হাতে ছুরি তুলে নেন সামান্থা। এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে জনের বুকে চালিয়ে দেন সেই ছুরি।

ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- মারাত্মকভাবে ছুরিটি জনের বুকে ঢুকে লিভারে গিয়ে বিদ্ধ হয়। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন জন। প্রাথমিকভাবে মালয়েশিয়ার আইন অনুযায়ী সামান্থাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।

কিন্তু পুরো ঘটনা বুঝতে পেরে গেলো আগস্ট মাসে একজন বিচারক সামান্থার মৃত্যুদণ্ড মওকুফ করে তাকে তিন বছরের কারাদন্ড দিয়ে বলেন- সামান্থা, জনের মৃত্যুর জন্য দায়ী নন বরং দীর্ঘদিন গৃহ নির্যাতনের শিকার হয়ে তিনি না বুঝে 'আত্মরক্ষায়' ওই কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন।

চূড়ান্ত রায় ঘোষণার সময় সামান্থা কাঁদতে কাঁদতে বলছিলেন, মানুষটাকে আমি ভালোবাসতাম। যাই হোক, সাজার মেয়াদ শেষ হলে কিছুদিন আগে মুক্ত হয়ে তিনি নিজ দেশে ফিরে আসেন। এদিকে, বৃটেনের পত্রিকায় ছাপা হওয়া ছবিতে সামান্থা (৫৫) অনামিকায় আংটি পরা অবস্থায় ধরা পড়েছেন।
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status