× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

স্বামী হত্যার বিচার চেয়ে স্ত্রী ও স্বজনরা রাস্তায়

বাংলারজমিন

ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, রবিবার

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে দিনমজুর আঃ জলিল হত্যার বিচার ও লাশ ময়নাতদন্তের দাবিতে মানববন্ধন করেছে তার স্ত্রী, স্বজন ও এলাকাবাসী। আজ দুপুরে ভূঞাপুর প্রেসক্লাবের সামনে দিনমজুর আঃ জলিলের স্ত্রী মোছা. বুলবুলির নেতৃত্বে এ মানববন্ধন পালন কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে জলিলের স্ত্রী বুলবুলি বেগম জানান, আমার স্বামী স্থানীয়দের সাথে নৌকাযোগে খড় (গো-খাদ্য) ক্রয় ও বিক্রয়ের ব্যবসার সাথে জড়িত ছিল। গেলো শুক্রবার বেলা ১২টার সময় ভূঞাপুর উপজেলার বড় নলছিয়া গ্রামের আহম্মদ আলীর ছেলে হাফেজ (৪৫), আব্দুলের ছেলে মিজানুর (২৫), রুস্তমের ছেলে নূর ইসলাম (৩০), সুরমানের ছেলে শাকিল (২৮), ইউছুফের ছেলে জহির (২৮), মজনুর ছেলে জাহাঙ্গীর (৩৮), জানির ছেলে পরবত (৩৫), চেরাগ আলীর ছেলে লাল চাঁন (৩৩) আমাদের বাড়িতে এসে আমার স্বামীকে খড় ক্রয় ও বিক্রয়ে যাওয়ার জন্য তাগাদা করে। আমার স্বামী তাদেরকে বলে আমি তো গতকালই তোমাদের বলে দিয়েছি আমি আজকে যাবো না। পরে তাঁরা একপ্রকার জোর করেই আমার স্বামীকে নিয়ে যায়। আমাদের কোন মোবাইল ফোন না থাকায় তাঁর সাথে কোন যোগাযোগ করতে পারিনি। ৫দিন পর বুধবার (০১৭৩১-১৯২৩০২) এই মোবাইল নাম্বার থেকে জানায় আমার স্বামী খড় বিক্রি করতে সিরাজগঞ্জে জেলার চৌহালী বাজারে গেছে। পরদিন বৃহস্পতিবার হাফেজের স্ত্রী আমার বাড়িতে এসে আমাকে জানায়, তোমার স্বামী পানিতে ডুবে মারা গেছে।
এ সংবাদে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। পরে আমার দেবর মুসা ও জাহাঙ্গীর তাঁর খোজ নেয়ার জন্য সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালীর খগেন ঘাটের দিকে রওনা দেয়। ভোর রাতের দিকে আমার স্বামীর লাশ বাড়িতে নিয়ে আসে। লাশ বাড়িতে আনার পর তাঁর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষতের চিহ্ন দেখতে পাই এবং ভূঞাপুর থানা পুলিশকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করি। কিন্তু আসামীগণ জোরপূর্বক তাঁর লাশ দাফন সম্পন্ন করে।
এদিকে আমার মানসিক অবস্থা স্বাভাবিক হলে ভূঞাপুর থানায় আসামীদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়েরের আবেদন করি। কিন্তু ভূঞাপুর থানা পুলিশ মামলাটি গ্রহণ না করে সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালী থানায় মামলা দায়েরের কথা বলে।
বুলবুলি আরো বলেন, আমার বিশ্বাস আসামীগণ পরিকল্পিতভাবে আমার স্বামীকে হত্যা করেছে। পরবর্তীতে হত্যার রহস্য উন্মোচনের জন্য আসামীগণের নাম উল্লেখ করে টাঙ্গাইল বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করি। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি ভূঞাপুর থানাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেন। আমি আমার স্বামীর হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আব্দুল ওহাব জানান, টাঙ্গাইলের বিজ্ঞ আদালত মামলা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যে সমস্ত তথ্যাদি চেয়েছে তা সংগ্রহ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করবো।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর