× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের বিষয়ে যা বললেন ফখরুল

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার
(২ বছর আগে) সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২১, রবিবার, ৫:১৩ অপরাহ্ন
ছবি - শাহনেওয়াজ বাবলু

বিএনপি চেয়ারপরসন বেগম খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আপনারা জানেন বেগম জিয়ার মুক্তির বিষয়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে। তিনি যখন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তখনও পরিবারের পক্ষ থেকে বিদেশ যাওয়ার জন্য একটা আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু সরকার সেটা দেয়নি। এবারো সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হলেও বিদেশ যেতে পারবেন না বলে একটা শর্ত জুড়ে দিয়েছেন। মূল বিষয় হচ্ছে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে তারা (সরকার) এত বেশি ভয় পান এজন্য তাকে দেশের বাইরে যাওয়া অথবা মুক্ত করার বিষয়টা ভাবতেই পারেন না। চিকিৎসক এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যখন বলছি বেগম জিয়ার উন্নত ট্রিটমেন্ট প্রয়োজন তখন সরকারের অনুমতি দিচ্ছে না তাকে আটকে রেখেছে।
রোববার বিকালে গুলশানস্থ বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সারাদেশে কমিটি পুনর্গঠনের কাজ শুরু হয়েছে এবং চলছে। অঙ্গ সংগঠনগুলোরও বেশ কিছুদিন ধরে কাজ চলছে। জেলা, থানা, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন পর্যায়ে কাজ হচ্ছে। যেগুলো বাকি আছে সেগুলো শিগগিরই হয়ে যাবে। যেহেতু এতোদিন করোনার ভয়াবহতা বেশি ছিল তাই সম্মেলন করে করা সম্ভব হয়নি। বেশিরভাগ জায়গায় সম্মেলনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। ঠিক একইভাবে বিএনপিতেও যেখানে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি আছে সেই মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি গুলোকে নতুন করে আহবায়ক কমিটি গঠন করা হচ্ছে। আর কয়েকটি জেলার সম্মেলন অতি দ্রুত শেষ হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এতোদিন বৈঠক করেছি। আমাদের এর মধ্যে স্পেস ছিল না বলেই নির্বাহী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করছি। এর মধ্যে জেলার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকরাও থাকবেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমি আগেও বলেছি, বৈঠকে রাজনৈতিক এবং সাংগঠনিক আলোচনা হয়েছে। পুরো রাজনৈতিক পরিস্থিতি, বর্তমান পরিস্থিতি, একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তনের সরকারের প্রচেষ্টা, বিরোধীদলীয় নেতাদের ওপর নির্যাতন, বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দেয়া, নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা হামলা এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আর আমাদের বৈঠকের কার্যক্রম শেষ করেই আপনাদেরকে সার্বিক বিষয়ে জানাবো।
শনিবার অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্তের কথা জানাতে গিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, জনগণকে বিভ্রান্ত করার লক্ষ্যেই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও তার সমাধি সম্পর্কে মিথ্যা এবং বানোয়াট তথ্য উপস্থাপন করা হচ্ছে। মূলত জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনকে দৃষ্টির আড়ালে রাখার একটি ষড়যন্ত্র করছে সরকার। এভাবে ইতিহাস বিকৃত করে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের বিরুদ্ধে এ ধরনের বিকৃত অপপ্রচার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে চক্রান্ত ব্যতীত কিছু নয়। সবাইকে এ ধরনের মিথ্যাচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ফখরুল।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার, শায়রুল কবির খান প্রমুখ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর