কুমিল্লা নগরীর নোয়াগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হচ্ছে টিনের বেড়া দিয়ে নির্মিত একচালা টিনের ঘরে। এতে শিক্ষক ও শিশু শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের অন্ত নেই। জানাগেছে, ৩ বছর আগে বিদ্যালয়ের মূল ভবনের ছাদ ও ভিমের পলেস্তারা খোসে পড়ে। দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির আশঙ্কায় নানাভাবে সহায়তা নিয়ে ওই টিনের চালা তৈরি করা হয়। দীর্ঘ ছুটি শেষে শিক্ষাপ্রতিসষ্ঠান খোলার পর সেখানেই চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। বর্তমানে টিনের এ ঘরটিও জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখানে একটি নতুন ভবন নির্মাণের জন্য একাধিক আবেদন করলেও কোনো কাজ হয়নি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মফিজুর রহমান বলেন, বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে ভেঙে সেখানে একটি নতুন ভবন নির্মাণের জন্য ২০১৮ সালের জুলাই মাসে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মহোদয় ও চলতি বছরের জুনে কুমিল্লা সদর আসনের এমপি মহোদয়ের নিকট আবেদন করা হয়েছে।
একচালা টিনশেডের ঘরে পাঠাদানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সামান্য বৃষ্টিতে টিনের চালা দিয়ে পানি পড়ে। চেয়ার-টেবিল ও আসবাবপত্র ভিজে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি রাতের বেলায় ২টি সিলিং ফ্যান, টিউবওয়েলের মাথা ও প্রাক প্রাথমিকের উপকরণ চোরেরা নিয়ে গেছে। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আঞ্জুমানআরা বেগম বলেন, বিদ্যালয়ের এমন দুরবস্থার কারণে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬৩ জনে নেমে এসেছে। নতুন ভবন নির্মাণ করা হলে শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টি হবে এবং শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে যাবে।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা শিক্ষা অফিসার প্রান্তিক সাহা জানান, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ বিভিন্ন সময়ে বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেছেন এবং ভবনটি জরাজীর্ণ হওয়ায় সেখানে ক্লাস নিতে নিষেধ করা হয়েছে। নতুন ভবন নির্মাণের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে, এখনো অনুমোদন পাওয়া যায়নি।