লক্ষ্মীপুরে ঘরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে ৪ সন্তানসহ মা মাহমুদা বেগম বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে পারিবারিক বিরোধে পৌর শহরের মিয়া রাস্তার মাথা নামক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। হাসপাতাল, পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে লক্ষ্মীপুর শহরে অবস্থিত বাংলাদেশ মেডিকেলের মালিক নাদিম মাহমুদ ও তার স্ত্রী মাহমুদা বেগমের বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায় ঝগড়া লেগে থাকতো। এর জের ধরে শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে মাহমুদা ঘরের দরজা বন্ধ করে তার ৩ ছেলে জুলহাস (১০) মুর্তজা (৭) আরমান (৫) ও মেয়ে পান্না (৬) কে জুসের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খাইয়ে নিজেও বিষপান করে। এ সময় সবার মৃত্যু নিশ্চিত করতে ঘরের দরজা বন্ধ করে ভেতরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। ৪ শিশুর শোরচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে ঘরের দরজা ভেঙে গুরুতর অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এসব বিষয়ে মাহমুদা বেগমসহ পরিবারের কেউ কোনো কথা বলতে না চাইলেও ৬ বছরের শিশু পান্না জুস খাওয়ানোর কথা বলছে। তবে শিশুদের বাবা নাদিম মাহমুদ বলেন, স্ত্রীর বেপরোয়া জীবনযাপনে সংসারে অশান্তি লেগে থাকতো। সব সময় টাকা পয়সা চাইতো। না দিলে সন্তানদের নিয়ে আত্মহত্যার হুমকি দিতো। এ কারণে ৪ সন্তানসহ মাহমুদা বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়।
তবে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. কমলাশীষ জানান, বিষক্রিয়া নিয়ে একই পরিবারের ৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হন। তাদের চিকিৎসা চলছে। তাদের আশঙ্কামুক্ত হতে ৭২ ঘণ্টা সময় অপেক্ষা করতে হবে।
শহর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক ইমদাদুল হক জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থায় নেয়া হবে।