× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কুলাউড়ায় পুলিশের স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন

বাংলারজমিন

কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
২০ সেপ্টেম্বর ২০২১, সোমবার

চলতি বছরের রমজান মাসে তারাবির নামাজকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষের ঘটনায় হামলার শিকার হওয়ার পরেও প্রতিপক্ষের দেয়া মামলায় হয়রানি ও পুলিশের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগীরা। ঘটনাটি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ কেওলাকান্দি গ্রামের। গত শনিবার বিকাল ৪টার দিকে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে ভুক্তভোগীদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেন দক্ষিণ কেওলাকান্দি জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইসলাম উদ্দিন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত রমজান মাসে করোনা সংক্রমণরোধে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদে সূরা তারাবির সিদ্ধান্ত নেয়া হয় মসজিদ কমিটির সভায়। কিন্তু একই এলাকার বাসিন্দা প্রভাবশালী মদরিছ আলী, হান্নান মিয়া, সজিব মিয়া, মকবুল আলী গংরা এ সিদ্ধান্তকে অগ্রাহ্য করেন। তখন মদরিছ আলী ইচ্ছামাফিক তার দুই ভাতিজা ইসমাইল ও ইসরাইলকে দিয়ে প্রথমদিকে মসজিদের ইমামকে বাদ দিয়ে তিনদিন খতম তারাবি পড়ান। মদরিছ আলী গংরা খতম তারাবির অজুহাত দেখিয়ে ১৭ই এপ্রিল রাত সাড়ে ৮টার দিকে পরিকল্পিতভাবে তারাবির নামাজ শেষে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য ও মুসল্লিদের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় মসজিদ কমিটির কোষাধ্যক্ষ চান্দু মিয়া আত্মরক্ষার্থে তার বাড়িতে আশ্রয় নেন।
বাড়িতে গিয়েও হামলাকারীরা মুসল্লিসহ ঘরের লোকজনের ওপর হামলা এবং বেধড়ক মারধর করেন। এতে বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন। হামলার ঘটনায় মসজিদ কমিটির কোষাধ্যক্ষ চান্দু মিয়া বাদী হয়ে জামায়াত নেতা মদরিছ আলীকে প্রধান অভিযুক্ত করে ১০ জনের বিরুদ্ধে কুলাউড়া থানায় ১৯শে এপ্রিল একটি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু আমাদের মামলার তিনদিন পরে আমাদের ওপর হয়রানিমূলক পাল্টা মামলা দায়ের করে প্রতিপক্ষ মদরিছ আলীর বোন জামাই ছবেদ আলী। এতে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইসলাম উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ চান্দু মিয়াসহ ১৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। এছাড়া চান্দু মিয়ার ছেলে জসিম উদ্দিন ঘটনার দিন সিলেটে ছিল তাকেও মামলায় আসামি করা হয়েছে। এদিকে, মামলার প্রধান অভিযুক্ত মদরিছ আলীকে আটক না করায় পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়ে সে ঘটনার এক মাস পর দুবাই পালিয়ে যায়। উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়রানিমূলক মামলায় পুলিশের ভয়ে আমাদের ঘরবাড়ি ছাড়া হয়ে থাকতে হয়। আমাদের প্রথম দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা না দিয়ে প্রতিপক্ষের মামলার প্রতিবেদন আগে জমা দেয় পুলিশ। আমাদের মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে হামলায় আহত দুইজনের মেডিকেল রিপোর্ট দেখিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপ-পরিদর্শক সাদির উদ্দিন। অথচ তাদের চার্জশিটে উল্লেখ করা হয় প্রতিপক্ষরা দা, রামদা, ছুরি দিয়ে আমাদের ওপর হামলা করেনি তারা বাঁশের লাঠি দিয়ে আমাদের ওপর হামলা করেছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুলাউড়া থানার এসআই সাদির উদ্দিন বলেন, হাসপাতাল থেকে প্রাপ্ত মেডিকেল রিপোর্ট অনুসারে প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে। তবে এটা ঠিক যে, দু’পক্ষের চার্জশিট দু’ধরনের হয়েছে। আমার তদন্তে দেয়া প্রতিবেদন সঠিক না হলে বিষয়টি আদালত দেখবেন। কুলাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, যাদের মেডিকেল রিপোর্ট আগে এসেছে তাদের চার্জশিট আগে দেয়া হয়েছে। আর প্রধান আসামি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পেয়েই দেশের বাইরে গেছেন। আসামির বিরুদ্ধে তো চার্জশিট দেয়া হয়েছে। চার্জশিট যাদের পক্ষে যাবে না তারা তো অভিযোগ করবেই।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর