কুমিল্লার তিতাসে গত শনিবার রাতে টানা ৪ ঘণ্টা বৃষ্টিতে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামীণ সড়ক ভেঙে পড়েছে। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও উপজেলা পরিষদের মাঠসহ বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়াও কয়েকটি স্থানে বসতঘর ও দোকানেও পানি ঢুকে পড়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে এলাকাবাসী।
গতকাল সকালে সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা পরিষদ মাঠ, গাজীপুর আজিজিয়া সিনিয়র (আলিম) মাদ্রাসার মাঠ, কড়িকান্দি বাজারের তানিয়া সুপার মার্কেট ও ইঞ্জিনিয়ার কাশেম সুপার মার্কেট ১ ফুট পানির নিচে। এ ছাড়াও উপজেলার কয়েকটি গ্রামীণ সড়ক ভেঙে ও পানির নিচে তলিয়ে গিয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। গাজীপুর টু জগৎপুর সড়কের সিএনজিচালক রফিক বলেন, ‘এমনিই রাস্তাঘাট ভাঙা, তার ওপর টানা বৃষ্টিতে সড়ক ভেঙে যাওয়ায় অর্ধেক রাস্তায় নামাই দিতে হয় যাত্রীদের এবং ভাড়াও অর্ধেক নিতে হয়।’ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন সরকার বলেন, অতিবৃষ্টির কারণে মাঠে জলাবদ্ধতার সৃষ্ট হয়েছে। আগামী বুধবার উপজেলা প্রকৌশলী যোগদান করবে, আমরা স্থায়ীভাবে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করবো।
গাজীপুর আজিজিয়া সিনিয়র (আলিম) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুল রউফ বলেন, চারতলা বিশিষ্ট নতুন ভবন নির্মাণ কাজের সময় পানি নিষ্কাশনের পাইপের মুখটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। শ্রমিক এনে এখনই পাইপের মুখ খুলে দেয়া হবে। জগৎপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মজিবুর রহমান বলেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার বাড়ির সামনে দিয়ে কেশবপুর টু মাছিমপুর সড়কটি বৃষ্টির পানিতে ভেঙে গেছে এবং ভাঙা অংশের দু’পাশে সিএনজিচালিত অটোরিকশা আটকে আছে। এ ছাড়াও ইউনিয়নের গাজীপুর টু জগৎপুর সড়ক ও কানাইনগর সড়ক ভাঙার খবর পেয়েছি। আমি পরিষদের অর্থায়নে মেরামতের কাজ শুরু করেছি।
কড়িকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মহসিন ভূঁইয়া বলেন, খবর পেয়ে আলীরগাঁও, একলারামপুর, বন্ধরামপুর, রাজাপুর ও কড়িকান্দি গ্রামের রাস্তাগুলো পরিদর্শন করেছি। এই রাস্তাগুলো উপজেলা স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতায়, তাই ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মেরামত করা সম্ভব না। তবে আমি উপজেলা প্রকৌশলীর সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত রাস্তাগুলো মেরামতের ব্যবস্থা নিবো।