মাতৃত্বকালীন ছুটিতে এসে প্রতিপক্ষের রামদা’র কোপে গুরুতর জখম হয়েছেন সুমাইয়া খাতুন নামে এক নারী পুলিশ সদস্য। গত শনিবার বিকালে উপজেলার সিরতা ইউনিয়নের চর ভবানীপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১০নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। সুমাইয়া খাতুন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কন্ট্রোল রুমে কর্মরত।
জানা গেছে, সদর উপজেলার সিরতা ইউনিয়নের চর ভবানীপুরে ২৩ বছর ধরে জমিজমা নিয়ে আলী আকবর এবং আজিজুল হক এই দুই পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। এ ঘটনায় একাধিক মামলাও চলমান রয়েছে। শনিবার বিকালে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসার কথা থাকলেও আজিজুল হকরা সালিশে না বসে উল্টো রাস্তায় গাছ দিয়ে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে। এনিয়ে বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে আজিজুল হকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আলী আকবরের পরিবারের ওপর হামলা করে। এ সময় আলী আকবরের বোন সুমাইয়া খাতুন তার শিশু বাচ্চাকে নিয়ে বারান্দায় বসে থাকলে তার মাথায়ও রামদা দিয়ে কোপ দেয়।
এতে সঙ্গে সঙ্গে অজ্ঞান হয়ে পড়েন সুমাইয়া। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় সুমাইয়ার বোনও আহত হয়।
আহত পুলিশ সদস্য সুমাইয়া খাতুন বলেন, ‘সালিশ হওয়ার কথা থাকলেও আজিজুলরা সালিশে যায়নি। পরে উল্টো বাড়ির সামনের রাস্তায় গাছ দিয়ে আমাদের যাতায়াত বন্ধ করে দেয়। রাস্তা বন্ধের কারণ জানতে চাইলেই পরিকল্পিতভাবে আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমার মাথায় রামদা দিয়ে কোপ দিলে অজ্ঞান হয়ে পড়ি, জ্ঞান ফিরে দেখি আমি হাসপাতালে ভর্তি।’
আজিজুল হক বলেন, বিরোধের জমিটি ক্রয় সূত্রে মালিক তিনি। তারা সেই জমি দাবি করে একটা ঝামেলা তৈরি করে চলছে দীর্ঘদিন ধরে। তারা আমাদের ওপর চড়াও হলে আমরাও পাল্টা হামলা করি আত্মরক্ষার্থে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ বলেন, নারী পুলিশ সদস্য সুমাইয়া ছুটিতে এসে হামলার শিকার হয়েছেন। তার অবস্থাও গুরুতর। সে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।