× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ ৬ মাস বাড়লো

প্রথম পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
২০ সেপ্টেম্বর ২০২১, সোমবার

বিএনপি’র চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়িয়েছে 
সরকার। ফলে, সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়লো। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল রোববার মন্ত্রণালয়ে নিজের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান। শর্ত অনুযায়ী, মুক্ত থাকার সময়ে খালেদা জিয়াকে ঢাকায় নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে। এবং তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না। মন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার পরিবার, মানে তার ছোট ভাই শর্তসাপেক্ষে সময়টা বর্ধিত করার একটি আবেদন করেছিলেন। আমরা সেই আবেদন যথাযথ প্রক্রিয়ায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অনুমোদন দিয়েছি। তিনি (খালেদা জিয়া) নিজ বাসায় থেকে যেভাবে চিকিৎসা নিতে চান, সেভাবে চিকিৎসা নেবেন।
তবে তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। আগে যেসব শর্ত ছিল, সেসব শর্ত বহাল থাকবে। দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে গতবছর ২৫শে মার্চ নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। দণ্ডের কার্যকারিতা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হলে তিনি কারামুক্ত হন। এরপর গতবছর সেপ্টেম্বরে এবং চলতি বছরের মার্চে আরও দুই দফায় ছয় মাস করে বাড়ানো হয় সাজা স্থগিতের মেয়াদ। এ নিয়ে মোট তিন দফায় ১৮ মাস সেই মেয়াদ বাড়ানো হলো। খালেদা জিয়া বর্তমানে গুলশানে তার বাসা ফিরোজায় রয়েছেন। তিনি আর্থারাইটিস, ডায়াবেটিস, চোখের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছেন। এর মধ্যে তিনি করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাও নিয়েছেন। খালেদা জিয়ার সাময়িক মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর পাশাপাশি চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেয়ার অনুমতিও চাওয়া হয়েছিল পরিবারের পক্ষ থেকে। আইন মন্ত্রণালয় সাময়িক মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর পক্ষে মত দিলেও বিদেশে নেয়ার বিষয়ে কোনো মতামত দেয়নি বলে গত ১২ই সেপ্টেম্বর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছিলেন। নিয়ম অনুযায়ী আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত পাওয়ার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত ফাইল প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। সেখান থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রোববার বিষয়টি সাংবাদিকদের জানালেন। ২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজায় কারাজীবন শুরু করেন খালেদা জিয়া। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও তার সাজার রায় হয়। তার বিরুদ্ধে আরও ৩৪টি মামলা রয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর