× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আদালতে কথা বললেন ডা. জাফরুল্লাহ

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
২০ সেপ্টেম্বর ২০২১, সোমবার

ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাদের জামিন শুনানি শেষে আদালতে কথা বলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি আদালতকে বলেন, বঙ্গবন্ধুকে যখন ম্যাজিস্ট্রেট জামিন দিচ্ছিলেন না, তখন একজন জজ তাকে সাহস করে জামিন দেন। আজকে আপনার আদেশের পর সে কথাই মনে পড়ছে। তিনি আরও বলেন, এ ছাত্ররা শুধু সেøাগান দেন। তারা খোলা মাঠে সেøাগান দেন। এ অপরাধে তারা পাঁচ মাস কারাগারে। আজকে তাদের জামিন দেয়ায় ধন্যবাদ জানাই। গতকাল ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে ছাত্র অধিকার পরিষদের ২০ নেতাকর্মীর জামিন শুনানি শেষে আদালতকে ধন্যবাদ দিয়ে এসব কথা বলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

পরে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রশ্ন রেখে বলেন, সেøাগান কিংবা গালি দেয়ার কারণে ছয়মাস জেলে থাকতে হয়।
এটা কি ন্যায়বিচার? বিচারককে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ছাত্রদের অপরাধটা কি? পুলিশ মিথ্যা বলেছে, ছাত্রদের হাতে কোনো লাঠি ছিল না। একজন বিচারকের দায়িত্ব হচ্ছে, আমাদের কথা বলতে দেয়া ও কথা শোনা। বিচারক আমার কথা শুনেছেন। ন্যায় কাজ করেছেন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে রাজধানীতে বাংলাদেশ ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের মিছিল থেকে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেপ্তার ছাত্র অধিকার পরিষদের ২০ জনের জামিন আবেদন করেন তাদের আইনজীবী। বিচারক শুনানি শেষে তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। জামিন পাওয়া আসামিরা হলেন- মো. ইউনুস, নাজমুল হাসান, নাহিদুল তারেক, মো. নাইম, আসাদুজ্জামান, আজহারুল ইসলাম, সোহেল মৃধা, মোস্তাক আহমেদ, আজিম হোসেন, মো. রুহুল ইসলাম সোহেল, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জিশান, মো. সোহেল আহমদ, শেখ খায়রুল কবির, সবুজ হোসেন, হোলাম তানভীর, মো. হেমায়েত, ইসমাইল হোসেন, মো. রেজাউল করিম, মুনতাজুল ইসলাম ও কাজী বাহাউদ্দীন মনির।
এদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর বলেন, আদালতের প্রতি আমাদের প্রত্যাশা থাকবে, এ ধরনের ন্যায়বিচারের দৃষ্টান্ত যেন অব্যাহত থাকে। মানুষ যেন আদালতে এসে ভোগান্তির শিকার না হন। মানুষ যেন ন্যায়বিচার পান। তিনি বলেন, মোদিবিরোধী আন্দোলনের সময় আমাদের ৬২ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছিল। তারা অনেকে চার-পাঁচ মাস এ মামলায় কারাভোগ করেছেন। তাদের মধ্যে আজ ২০ জন জামিন পেয়েছেন। ভিপি নুর বলেন, মিছিল করা গণতান্ত্রিক অধিকার। এজন্য কোনো নাগরিককে পাঁচ-ছয়মাস জেলে রাখা যায় না। যারা কারাগারে ছিলেন তাদের অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে। বিশেষ করে শাহবাগ থানায় কয়েকজনকে চোখে মরিচ ভেঙে দিয়েছে। মতিঝিল থানায় কয়েকজনকে যৌনাঙ্গে শক দেয়া হয়েছে। এ বিষয়গুলো আমরা একাধিকবার বলেছি কিন্তু আলোচনায় আসেনি। অভিযুক্তদের মধ্যে অনেকে ছাত্র। তারা জেলে বসে পরীক্ষা দিচ্ছেন। অনেকের সামনে পরীক্ষা রয়েছে। বিচারক এসব বিবেচনা করে তাদের জামিন মঞ্জুর করেছেন। এজন্য আদালতকে ধন্যবাদ জানাই।

গত ২৫শে মার্চ দুপুর ১২টার দিকে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে মতিঝিল শাপলা চত্বরে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। এতে আরও বেশ কয়েকটি সংগঠনের কর্মীরা অংশ নেন। পুলিশ মিছিলের গতিরোধ করতে চাইলে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। মিছিলকারীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় পরদিন মতিঝিল থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর