ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলেই আগামী দু’মাসের মধ্যে কোভিড ভ্যাকসিন বাংলাদেশ সহ বিশ্বের অন্য দেশগুলোতে রপ্তানি করা সম্ভব বলে মনে করছেন সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার কর্তা আদর পুনেওয়ালা। তিনি জানান, অক্টোবর থেকে তারা দুশো মিলিয়ন ভ্যাকসিন উৎপাদন করবেন। তারা ছাড়াও ভারত বায়োটেক এবং জাইরাস কাডিলা তাদের উৎপাদন বাড়াচ্ছে। পুনেওয়ালা আশা প্রকাশ করেন, ডিসেম্বরের মধ্যে সব ভারতীয়কে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা যাবে। এরপর আর রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা থাকবে না। বিশ্বকে চুক্তি অনুযায়ী ভ্যাকসিন দেয়া যাবে। মাত্র দু’দিন আগে বেঙ্গালুরুর বায়োকন বায়োলজিক্যাল লিমিটেডের সঙ্গে স্ট্রাটেজিক পার্টনারশিপ চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে সেরাম-এর। সেরাম কর্তা আদর পুনেওয়ালা এবং বায়োকন কর্তা কিরণ মজুমদার শা মনে করছেন, এর ফলে উন্নয়নশীল দেশগুলিতে ভ্যাকসিন রপ্তানির পথ সুগম হবে।
চুক্তি অনুযায়ী বায়োকন-এর ১৫ শতাংশ স্টেক সেরামের হাতে যাচ্ছে চার দশমিক নয় বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে। সেরাম আগামী ১৫ বছর মাসে ১০০ মিলিয়ন ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে বায়োকনকে। বায়োকন আন্তর্জাতিক বাজারে সেরাম-এর ভ্যাকসিন বিপণন করবে। শুধুমাত্র কোভিড নয়, ডেঙ্গু এবং এইচআইভি প্রতিরোধের ভ্যাকসিনও উৎপাদিত হবে এই প্রকল্পে। তবে এখন শুধুই কোভিড ভ্যাকসিন, জানিয়েছেন পুনেওয়ালা। সেরাম কর্তার মতে, তৃতীয় ও চতুর্থ ওয়েভ ভারতে না এলে তারা বাংলাদেশে দু’মাসের মধ্যে ভ্যাকসিন রপ্তানি করতে পারবেন।