× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পুলিশের কাছে রাজুর স্বীকারোক্তি / ‘শ্বাসরোধের পর কব্জি কেটে স্ত্রীর মৃত্যু নিশ্চিত করে’

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর থেকে
২১ সেপ্টেম্বর ২০২১, মঙ্গলবার

গাজীপুরে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী রাজু আহমেদ (৩১) কে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই। গত রোববার দিবাগত রাতে তাকে কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া রাজু জামালপুর জেলার ইসলামপুর থানার পাঁচবাড়ীয়া গ্রামের মো. আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে। পিবিআইয়ের গাজীপুর পুলিশ সুপার মো. মাকছেদুর রহমান জানান, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই আলাদা পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। জরিফুল তার মাসিক বেতন স্বামীর সংসারে খরচ না করে ভাইয়ের অ্যাকাউন্টে জমা রাখতেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ তৈরি হয়। একাধিকবার পরিবারের অন্য সদস্যরা বসে পারিবারিকভাবে কলহ মিটিয়েছিল। তবুও নানা বিষয়ে ক্ষুব্ধ ছিল রাজু।
গত বুধবার রাজু মৌচাক থেকে তাকওয়া পরিবহনে গাজীপুর চৌরাস্তায় আসে। সেখান থেকে একটি অটোরিকশায় গাজীপুরের ন্যাশনাল পার্ক এলাকায় নিয়ে আসে জরিফুলকে। পার্কের ভেতরে নির্জন জায়গা খুঁজতে থাকে রাজু। ভরদুপুরে গহীন বনের নির্জন জায়গায় নিয়ে পারিবারিক নানা বিষয়ে আবারো কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে গলায় থাকা ওড়না প্যাঁচিয়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর আরও নিশ্চিতের জন্য ব্লেড দিয়ে হাতের কব্জির রগ কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনার রহস্য উদ্‌ঘাটনে কাজ শুরু করেই স্বামী রাজুকে গ্রেপ্তার করে। তার দেয়া তথ্যমতে গতকাল দুপুরে ন্যাশনাল পার্কে উপস্থিত হন পিবিআই সদস্যরা। এ সময়  হত্যায় ব্যবহৃত একটি ব্লেড উদ্ধার করে। পিবিআই জানায়, গত  ১৬ই সেপ্টেম্বর গাজীপুর মেট্রো সদর থানা পুলিশ মাস্টারবাড়ী ফরেস্ট অফিসের পূর্ব পাশে ময়মনসিংহ-ঢাকা মহাসড়কের পাশে অজ্ঞাত মহিলা (৩৫)-এর মরদেহ উদ্ধার করে। মৃতদেহের ডান কানের পাশে কালো ফোলা আঘাতের চিহ্ন, গালের বাম পাশে জখম, ডান হাতের কব্জিতে কাটা জখম ও  গলায় কালচে দাগ ছিল। সংবাদ পেয়ে পিবিআই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে উক্ত অজ্ঞাত লাশের পরিচয় শনাক্ত করতে সক্ষম হয় এবং তার আত্মীয়-স্বজনকে সংবাদ প্রদান করে। এই ঘটনায় ভিকটিমের ভাই মো. সুজা মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে গাজীপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে গত ১৯শে সেপ্টেম্বর মেট্রোপলিটন পুলিশ তদন্তকালে পিবিআই গাজীপুর জেলা মামলাটি সপ্রণোদিত হয়ে অধিগ্রহণ করে। দ্রুত সময়ের মধ্যে রাজুকে গ্রেপ্তারের পর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নিতে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর