আগামী বছর কাতারে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপ ফুটবল। মহাযজ্ঞের আগে করোনাভাইরাস নিয়ে কঠোর অবস্থানে কাতার সরকার। বিশ্বকাপ সংশ্লিষ্টদের সবার জন্য কোভিড-১৯’র টিকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ভ্যাকসিন ব্যতীত খেলা দেখতে পারবেন না দর্শকরা। আর টিকা না নিলে ফুটবলাররা হতে পারেন নিষিদ্ধ।
করোনাভাইরাসের প্রতাপ কাটিয়ে বৈশ্বিক পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে উঠছে। ফুটবল স্টেডিয়ামগুলোতে ফিরছে দর্শক। তবে কোনো ঝুঁকি নিতে রাজী নয় কাতার সরকার।
আগামী বছরের নভেম্বরে শুরু হবে বিশ্বকাপ ফুটবল। সেই আসরে অংশ নেয়া খেলোয়াড় কিংবা দর্শক হিসেবে খেলা দেখতে করোনা ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
উত্তর আমেরিকার ক্রীড়া সংবাদমাধ্যম দ্য অ্যাটলেটিকের বরাত দিয়ে খবরটি নিশ্চিত করেছে ইংলিশ দৈনিক ডেইলি মেইল।
কাতারে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০ লক্ষ ভ্যাকসিন বিতরণ করা হয়েছে। যা দেশটির ৮০ শতাংশ জনগণের চাহিদা পূরণে সমর্থ্য। ভ্যাকসিনের অপ্রতুলতা নিরসনে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার সঙ্গে আলোচনা চালিয়েছে যাচ্ছে কাতার।
কাতার সরকারের উদ্বেগের কারণটাও যৌক্তিক। বিভিন্ন দেশের পেশাদার খেলোয়াড়রা এখনও ভ্যাকসিন নিতে আগ্রহী নয়।
ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভ্যাকসিন না নিলে কাতার বিশ্বকাপে সুযোগ নাও হতে পারে বিভিন্ন দেশের অনেক তারকা ফুটবলারদের।
এদিকে কিছু ঘরোয়া ক্লাবগুলোও ভ্যাকসিন নেয়ার পক্ষে নয়। যেমন ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের দল আর্সেনাল এবং সুইস ক্লাব গ্রান্তিক জাকা তাদের ফুটবলারদের টিকা নিতে দেয়নি এখনও।
গত মাসে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কোচ ওলে গানার সুলশার জানিয়েছিলেন, ক্লাবটির সকল খেলোয়াড় এখন পর্যন্ত করোনার ভ্যাকসিনের দুই ডোজ গ্রহণ করেনি। এক সাক্ষাৎকারে সুলশার বলেছিলেন, ‘খেলোয়াড়দের সবাই ডাবল ডোজ গ্রজণ করেননি। আমি তাদের অনুপ্রাণিত করছি ভ্যাকসিন নিতে। কিন্তু কাউকে তো আপনি জোর করতে পারবেন না।’
ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের আরেক ক্লাব নিউক্যাসলের কোচ স্টিভ ব্রুস এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, তার দলের অনেক খেলোয়াড় করোনার টিকা নেয়নি।
বিভিন্ন গুজবের কারণেই মূলত ভ্যাকসিন গ্রহণে খেলোয়াড়দের অনাগ্রহ। নিউক্যাসলের প্রধান চিকিৎসক জোনাথান ভ্যান-ট্যাম জানান, ভ্যাকসিন নিতে খেলোয়াড়দের উৎসাহ প্রদান করছেন তিনি। একইসঙ্গে ভ্যাকসিন সংশ্লিষ্ট গুজবে কান না দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আগামী বছরের ২১শে নভেম্বর শুরু হবে বিশ্বকাপ ফুটবল। আর পর্দা নামবে একই বছরের ১৮ই ডিসেম্বর।