× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

তৈরি পোশাক খাতে ক্রেতাদের অর্ডার বাড়ছে

দেশ বিদেশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
২১ সেপ্টেম্বর ২০২১, মঙ্গলবার

করোনাভাইরাস মহামারির ভয়াবহতা কাটিয়ে পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হওয়ায় আবারো সচল হচ্ছে বাংলাদেশসহ বিশ্বের রপ্তানি বাণিজ্য। এতে বাংলাদেশের পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো আগের চেয়ে বেশি ক্রয়াদেশ পাচ্ছে বলে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সূত্রে জানা গেছে। সূত্র জানায়, কার্যাদেশ প্রবাহের প্রবণতা ইউটিলাইজেশন ডিক্লারেশন (ইউডি) অনুমতির সংখ্যা দ্বারা বিবেচনা করা হয়, যা সংশ্লিষ্ট সমিতি দিয়ে থাকে। কোনো কার্যাদেশ পাওয়ার পর সেই কাজ সম্পন্ন করতে যে কাঁচামালের প্রয়োজন তা আমদানি করতে রপ্তানিকারককে দেয়া অনুমতিই হলো ইউডি। বিজিএমইএ’র তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের জানুয়ারি-আগস্ট সময়কালে ট্রেড বডি থেকে নেয়া ইউডি অনুমতির সংখ্যা ৩০.৪৮ শতাংশ বেড়ে ১৭ হাজার ৯৯৯ টিতে দাঁড়ায়। যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ১৩ হাজার ৭৯৪টি। ২০২০ সালের মার্চে করোনা মহামারির দেখা দেয়ার পর, ইউডি অনুমতির সংখ্যা এপ্রিলে ৫২০-এ নেমে এসেছিল। যা এর আগের মাসে ছিল ২ হাজার ৯০।
ওই বছরের আগস্টে ইউডি অনুমতির সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৭০৩টি। যা ৫৮.৯ শতাংশ বেড়ে চলতি বছরের আগস্টে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭০৬টিতে।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলেন, অর্থনীতি পুনরায় চালু হওয়ায় পোশাকের খুচরা বিক্রেতাদের গুদাম খালি হয়ে গেছে। কারণ, মানুষ বেশি করে পোশাক কিনেছে। চাহিদা বৃদ্ধির ফলে ফ্যাশন ব্র্যান্ড এবং খুচরা বিক্রেতারা বেশি অর্ডার দিচ্ছে। তারা বলেন, কাজের বাড়তি অর্ডার রপ্তানিকারকদের জন্য ভালো দাম পাওয়ার আলোচনার সুযোগ তৈরি করেছে। যখন কোনো প্রস্তুতকারক অর্ডার নেয়ার সময় খুচরা বিক্রেতাকে ‘না’ বলতে পারেন, তখন আরও ভালো দাম চাওয়ার সুযোগ থাকে। তবে কার্যাদেশ নেয়ার সময় সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ এবং স্টেকহোল্ডাররা। কারণ, এটি সমস্যা তৈরি করতে পারে। বিজিএমইএ’র ভাইস প্রেসিডেন্ট শহীদুল্লাহ আজিম বলেন, আগস্ট পর্যন্ত কার্যাদেশ করোনার আগের অবস্থাকে ছাড়িয়েছে, সেই সঙ্গে পোশাক প্রস্তুতকারকদের সক্ষমতাও ছাড়িয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বাজারে পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধির কারণে এমনটা হয়েছে। তিনি বলেন, অর্থনীতি আবারও সচল হওয়ায় ব্র্যান্ড এবং ক্রেতারা চাহিদা মেটাতে এখন আরও বেশি অর্ডার দিচ্ছেন। তাছাড়া, ভারত এবং ভিয়েতনাম থেকে কার্যাদেশ স্থানান্তরিত হয়েছে। কারণ, করোনার ফলে গত কয়েক মাস সেসব দেশে উৎপাদনে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। অথচ বাংলাদেশে তা চলছে পুরোদমে। তিনি বলেন, যদি সেবাদাতা সংস্থাগুলো সহযোগিতা এবং ভালোভাবে কাঁচামালের আমদানির পাশাপাশি রপ্তানি নিশ্চিত করতে সহায়তা প্রদান করে, তবে আমরা কার্যাদেশগুলো সম্পন্ন করতে পারবো। বাড়তি কার্যাদেশ রপ্তানিকারকদের আরও ভাল দাম পাওয়ার জন্য আলোচনার অতিরিক্ত সুবিধা দিচ্ছে। কারণ, সরবরাহকারীদের ওপরই নির্ভর করছে বাজার।
একটি বায়িং হাউসে কাজ করেন মো. আল মামুন। তিনি বলেন, প্রচুর অর্ডার আসছে, যা আমাদের ক্ষমতার বাইরে। আমরা এগুলো সময়মতো কার্যকর করতে পারব কিনা তা বিবেচনায় নেয়া উচিত। তিনি বলেন, অর্থনীতি পুনরায় চালু হওয়ার আগে, অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিক্রি হচ্ছিল এসব পণ্য। তিনি বলেন, এখন যেহেতু দোকানগুলোতে সরাসরি বিক্রি বেড়েছে, এ ধারা অব্যাহত থাকবে। নির্মাতাদের এখন তাদের সক্ষমতা বিবেচনা করে অর্ডার নিতে হবে। কারণ, কাজ নেয়ার পর তা পূরণে ব্যর্থ হলে, সুনাম ক্ষুণ্ন হবে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ১২.৫৫ শতাংশ বেড়ে ৩১.৪৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা আগের অর্থবছরে ছিল ২৭.৯৫ বিলিয়ন ডলার।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর