× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

স্বাস্থ্যের মালেকের ৩০ বছরের কারাদণ্ড

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
২১ সেপ্টেম্বর ২০২১, মঙ্গলবার

অস্ত্র মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক গাড়িচালক আব্দুল মালেককে ৩০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অস্ত্র আইনের একটি ধারায় ১৫ বছর এবং আরেকটি ধারায় ১৫ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। তবে দু’টি ধারায় দেয়া এই সাজা একসঙ্গে চলবে উল্লেখ করে বিচারক রায়ে বলেন, আব্দুুল মালেককে মোট ১৫ বছর কারা ভোগ করতে হবে। সোমবার ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম এই রায় দেন। রায়ের সময় আদালতে হাজির ছিলেন আসামি মালেক। রায়ের প্রতিক্রিয়ায় তিনি সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, তার কাছ থেকে কোনো অস্ত্র পাওয়া যায়নি। তিনি এই আদালতে ন্যায়বিচার পাননি।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ট্রাইব্যুনালের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর  সালাহউদ্দিন হাওলাদার। তিনি  সাংবাদিকদের বলেন, আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে আমরা সক্ষম হয়েছি।
মালেকের কাছে যে অস্ত্র পাওয়া গেছে, তা তার শয়নকক্ষ থেকে পাওয়া গেছে। তাকে শাস্তি দিতে এর চেয়ে বড় প্রমাণ প্রয়োজন হয় না। বিচারক যে রায় দিয়েছেন, তাতে আমরা অত্যন্ত খুশি। অপরদিকে মালেকের আইনজীবী শাহীনুর ইসলাম অনি রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে সাংবাদিকদের বলেন, আমরা এই রায়ের মধ্য দিয়ে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি।  এ রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে যাবো। বিচারক সাজা ঘোষণার পর মালেক বলতে থাকেন, আমাকে মিথ্যাভাবে অস্ত্র ও গুলি দিয়ে ধরা হয়েছে। আমি নির্দোষ, আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। র‌্যাব যখন বাসায় এলো, তখন কিছুই পায় নাই। পরে এসব অস্ত্র-গুলি কোথা থেকে এলো? ‘মালেকের স্ত্রী এজলাসের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে বলতে সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন। মালেকের বোন চিৎকার করে বলতে থাকেন, মিথ্যা মামলায় আমার ভাইকে ফাঁসানো হয়েছে। মালেকের ছেলে বলেন, আমার বাবার নাকি এত টাকা, কোথায় গেল এসব টাকা? একশ’ দুইশ’ কোটি টাকা নাকি আমার বাপের, কোথায় গেল? মালেকের স্বজনরা এজলাসের বাইরে এভাবে চিৎকার করে বিলাপ করতে থাকলে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা এক পর্যায়ে তাদের মহানগর আদালতের দ্বিতীয় তলা থেকে নিচে নামিয়ে নিয়ে যান।
এর আগে ১৩ই সেপ্টেম্বর যুক্তি-তর্ক শুনানি শেষ হয়। সেদিন আদালত রায় ঘোষণার জন্য সোমবার দিন নির্ধারণ করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) সালাহউদ্দিন হাওলাদার। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহীনুর রহমান। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, অস্ত্র মামলায় মালেককে দু’টি ধারায় ১৫ বছর করে মোট ৩০ বছর কারাদণ্ড দেন আদালত। এই সাজা একইসঙ্গে কার্যকর হওয়ার নির্দেশের কারণে আসামিকে সাজা ভোগ করতে হবে ১৫ বছর। এই মামলায় ৬ই সেপ্টেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। এই মামলায় ১৩ সাক্ষীর সবাই আদালতে সাক্ষ্য দেন।
গত বছরের ২০শে সেপ্টেম্বর রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, জাল টাকাসহ র?্যাব’র হাতে গ্রেপ্তার হন মালেক। তার বিরুদ্ধে তুরাগ থানায় অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়। অস্ত্র মামলায় মালেকের বিরুদ্ধে গত জানুয়ারিতে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। আদালত অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে গত ১১ই মার্চ অভিযোগ গঠন করেন। আব্দুল মালেক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিবহন পুলের গাড়িচালক ছিলেন। অষ্টম শ্রেণি পাস আব্দুল মালেক ১৯৮২ সালে গাড়িচালক হিসেবে যোগ দেন। বছর চারেক পর অধিদপ্তরের পরিবহন পুলে যোগ দেন। গ্রেপ্তারের আগ পর্যন্ত তিনি প্রেষণে স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিবহন পুলের গাড়িচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর