করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় দুই বছরের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার অবসানের ফলে নভেম্বরের পর টিকা নেওয়া যাত্রীরা বৃটেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন। সম্পূর্ণভাবে টিকা নেওয়া ব্যক্তি অর্থাৎ যারা করোনার দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে এই শিথিলতা প্রযোজ্য হবে। আন্তর্জাতিক ভ্রমণের ক্ষেত্রে নতুন এই নিয়ম যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তনের অংশ বলে মনে করা হচ্ছে।
স্কাই নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলা হয়েছে- সমস্ত বিদেশী ভ্রমণকারীদের বোর্ডিংয়ের আগে টিকা নেওয়ার প্রমাণ দিতে হবে, পাশাপাশি ফ্লাইটের তিন দিনের মধ্যে করোনা টেস্টে নেগেটিভ হয়েছেন এই প্রমাণও দেখাতে হবে। এর মধ্য দিয়ে মহামারীর শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার ১৮ মাস শেষ হবে।
সিদ্ধান্তটিকে স্বাগত জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বৃটিশ রাষ্ট্রদূত কারেন পিয়ার্স বলেছেন, "আজকের ভ্রমণ বিষয়ক ঘোষণাটি আটলান্টিকের দুই প্রান্তের পরিবারগুলো এবং ব্যবসার জন্য দারুণ এক খবর। আমরা কৃতজ্ঞ যে বৃটেনে উচ্চ টিকা দেওয়ার হার এবং সংক্রমণ হার কমা সহ করোনার বিরুদ্ধে যেসব অগ্রগতি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সেসবের স্বীকৃতি দিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে অধিক সংখ্যক বৃটিশ যুক্তরাষ্ট্রে তাদের প্রিয়জনদের সাথে মিলিত হতে পারবেন, অধিক সংখ্যক বৃটিশ তাদের ছুটির দিনগুলোতে (দেশটির পর্যটন খাতে) নিজেদের কষ্টার্জিত পাউন্ড (অর্থ) ব্যয় করতে পারবেন এবং আরও অধিক ব্যবসায়িক কর্মকান্ডের মাধ্যমে উভয় দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে পারবেন।"
উল্লেখ্য, আগের নীতি অনুযায়ী- শুধু যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক, তাদের পরিবারের নিকটতম সদস্য বা গ্রিন কার্ডধারী ব্যক্তিরা বৃটেন বা ইইউ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারতেন।
কিন্তু, সরকার চাইলে জাতীয় স্বার্থের অনুকূলে জনগণকে যাতায়াতের অনুমতি দেওয়ার ক্ষমতা ছিল।