বিশ্বজমিন

অকাস চুক্তি: ফ্রান্সকে সমর্থন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের

মানবজমিন ডেস্ক

২০২১-০৯-২১

সোমবার নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সাবমেরিন চুক্তি নিয়ে উত্তেজনায় ফ্রান্সকে সমর্থন ও সংহতি জানিয়েছেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। যুক্তরাষ্ট্র ও বৃটেনের সঙ্গে গত সপ্তাহে পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন নির্মাণ বিষয়ক চুক্তি স্বাক্ষর করে অস্ট্রেলিয়া। এতে আগে থেকে ফ্রান্সের সঙ্গে করা ৪০০০ কোটি ডলারের সাবমেরিন বিষয়ক চুক্তি বাতিল করে অস্ট্রেলিয়া। ফলে প্রচ- ক্ষোভ দেখা দিয়েছে ফ্রান্সে। এসব নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা জাতিসংঘে বিশ্বে নেতাদের সম্মেলনের বাইরে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে আলোচনা করেছেন। এতে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল বলেছেন, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীন একটি বড় শক্তি হিসেবে উত্থান ঘটাচ্ছে। সেখানে স্থিতিশীল এবং শান্তিপূর্ণ অবস্থান অর্জনের জন্য প্রয়োজন অধিক সহযোগিতা, অধিক সমন্বয় এবং কম বিভেদ। এ বিষয়ে অস্ট্রেলিয়া যে ঘোষণা দিয়েছে, তাতে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বোরেল।
অস্ট্রেলিয়ার এ সিদ্ধান্তে ক্ষোভে ফুঁসছে ফ্রান্স। সোমবার দিনের শুরুতে নিউ ইয়র্কে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে দায়ী করেন ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাঁ-ইয়েভস লা দ্রিয়ান। তিনি বলেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের একতরফানীতি, অদূরদর্শিতা, নৃশংসতা এবং অংশীদারদের সম্মান না করার নীতিতে চলছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন। উল্লেখ্য, ন্যাটো বাহিনীতে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ফ্রান্স একটি গুরুত্বপূর্ণ মিত্র। তাদের এই ক্ষোভকে প্রশমিত করার কথা বলেছে যুক্তরাষ্ট্র। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে টেলিফোনে এ নিয়ে কথা বলার কথা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রনের। তার আগে ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, আমরা মিত্র। আমরা আলোচনার সময় কোনো ভিন্ন কৌশল নিয়ে বিস্তারিত বিষয় আড়াল করি না। এ জন্যই এখানে আস্থায় সঙ্কট দেখা দিয়েছে। তাই এখন যা প্রয়োজন তা হলো বিষয়টি পরিষ্কার করা এবং এর ব্যাখ্যা দেয়া। এ জন্য সময় লাগতে পারে।
ওদিকে হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জেন পসাকি সোমবার বলেছেন, আমরা প্রত্যাশা করি প্রেসিডেন্ট বাইডেন আমাদের অন্যতম সবচেয়ে পুরনো এবং ঘনিষ্ঠ অংশীদারকে একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করবেন। এই মিত্রতা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায়, যা বিশ্ব সম্প্রদায় মুখোমুখি হয়। ওদিকে আগামী ১২ই অক্টোবর ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে বাণিজ্য আলোচনা হওয়ার কথা। তাতে এই বিরোধ কোনো প্রভাব ফেলবে কিনা তা পরিষ্কারভাবে বোঝা যাচ্ছে না। ওদিকে সোমবার নিউ ইয়র্কে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিজ পাইনে’র সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন জোসেপ বোরেল।
অস্ট্রেলিয়া, বৃটেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এই চুক্তি নিয়ে অগ্রসর হওয়ার বিষয়ে জটিলতা খুঁজে পেয়েছেন ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিচেল। নিউ ইয়র্কে তিনি বলেছেন, এই জটিলতা কেন? কারণ, যুক্তরাষ্ট্রে জো বাইডেনের নতুন প্রশাসন। এর পেছনে রয়েছে তারা। নতুন এই প্রশাসন থেকে ঐতিহাসিক বার্তা পাঠানো হয়েছে। তা নিয়ে এখন আমাদের প্রশ্ন রয়েছে। এর অর্থ কি- পিছনে যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে? যুক্তরাষ্ট্র তার নিজের দেশে এবং সর্বত্রই আছে? আমরা জানি না। তিনি আরো বলেন, ওয়াশিংটনের যদি প্রধান ফোকাস চীনই হতো তাহলে অস্ট্রেলিয়া ও বৃটেনের সঙ্গে তাদের দলবদ্ধ হওয়া খুবই বিস্ময়ের ব্যাপার। এতে ট্রান্সআটলান্টিক জোটকে দুর্বল করবে।
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status