× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বরখাস্তে হ্যাটট্রিক এক শিক্ষক

বাংলারজমিন

কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি
২২ সেপ্টেম্বর ২০২১, বুধবার

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চিত্তরঞ্জন পাল অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে আবারো সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন। একই ধরনের অভিযোগে ইতিপূর্বে চিত্তরঞ্জন পাল আরও দু’বার বরখাস্ত হয়েছিলেন। এবার ৯১ হাজার ৩০০ টাকা আত্মসাতের ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় তৃতীয়বারের মতো সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন সহকারী প্রধান শিক্ষক সাইফুদ্দিন আহম্মেদ। প্রধান শিক্ষক চিত্তরঞ্জন পাল যেসব কারণে বরখাস্ত হয়েছেন তন্মধ্যে রয়েছে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির ১৩টি রেজ্যুলেশন খাতা গায়েব করেছেন। এরআগে ১৯৮৫ ও ২০১৯ সাল পর্যন্ত শিক্ষকদের বেতন ভাতার অ্যাকাউন্টস খাতা গায়েব করে রেখেছেন। ১৯৮৫ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত এসএসসি ও জেএসসি’র মূল সনদ শিক্ষার্থীদের না দিয়ে নিজ বাসায় আটকে রাখে। এতে করে শিক্ষার্থীরা মারাত্মকভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীদের নিয়োগ ফাইলের সকল কাগজপত্র প্রতিষ্ঠানের আলমারিতে রাখার নিয়ম থাকলেও আইন অমান্য করে নিজের কাছে রাখেন। এ ছাড়াও বিদ্যালয়ের জমির দলিল, ক্যাশ বই নিজ বাসায় রেখেছেন। বিদ্যালয়ের মোবাইল ফোনটি বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতো ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। কিন্তু তার অসৎ উদ্দেশ্যের কারণে গোপনে কালীগঞ্জ থানায় একটি জিডি করে সিমটি উত্তোলন করেন। পরে বিদ্যালয়ের নানা কাজে বিঘ্ন ঘটার কারণে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক যশোর শিক্ষা বোর্ডে যোগাযোগ করেন এবং বিদ্যালয়ের সভাপতি কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া জেরিনকে অবহিত করেন। একপর্যায়ে প্রধান শিক্ষক চিত্তরঞ্জন পালের বিরুদ্ধে কালীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ বিষয়টি আমলে নেয়। তদন্ত শেষে ফোনের সিমটি চিত্তরঞ্জন পালের কাছে রয়েছে প্রমাণিত হলে অবশেষে সিমটি পুলিশের কাছে ফেরত দিতে বাধ্য হয়। গত ১৬ই সেপ্টেম্বর ম্যানেজিং কমিটির এক সভায় দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষককে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করার জন্য যশোর শিক্ষা বোর্ডের আরপিটিশ বোর্ডে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিলের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। প্রধান শিক্ষক চিত্তরঞ্জন পাল এরআগে ৪ লাখ ৫৬ হাজার টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ২০১৪ ও ২০১৫ সালে ২ বার বরখাস্ত হয়েছিল। ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২ লাখ ৬১ হাজার টাকা স্কুল ফান্ডে জমা দিয়ে তিনি চাকরি ফিরে পান। সে সময়ে চাকরিতে যোগদানের পূর্বে ১৪টি শর্তে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে অঙ্গীকার করে দিয়ে চাকরিতে যোগদান করেছিল। এরপর যশোর মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা বোর্ডের আরপিটিশন বোর্ডের কাছে ক্ষমা চেয়ে সে দফায় রক্ষা পান। সে সময় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছিলেন সাবেক চেয়ারম্যান সহিদুল ইসলাম, সদস্য ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলাম, কিবরিয়া ও বাচ্চু। তার বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের আয়-ব্যয়ের হিসাব, খরচ ভাউচার, নগদ টাকা ব্যাংকে জমাকৃত টাকা, বিদ্যালয়ের জমির দলিল, রেজ্যুলেশন খাতা, অ্যাকাউন্টস খাতা, শিক্ষক ও কর্মচারীদের নিয়োগের যাবতীয় কাগজপত্রসহ সমস্ত ডকুমেন্ট নিজের কাছে রেখে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতো। এবারো ৯১ হাজার টাকার বেশি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাইফুদ্দিন আহম্মদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।  
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর